No hotel resort can be demolished in Mandarmani says Mamata Banerjee: মন্দারমণির ১৪০টি হোটেল ভেঙে ফেলার নির্দেশ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তবে মন্দারমণিতে শতাধিক হোটেল ভেঙে ফেলা হলে রাজ্যের পর্যটন শিল্পে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহু মানুষের রুজিরুটি অনিশ্চিত য়ে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে মন্দারমণিতে ১৪০টি হোটেল ভাঙা নিয়ে বড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সূত্রের খবর, রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে একটি হোটেলও ভাঙা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনই খবর সূত্রের।
জানা গিয়েছে, উপকূল বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মন্দারমণির ১৪০টি হোটেল 'অবৈধ' বলে ঘোষণা করেছিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। মোট চারটি মৌজায় গড়ে উঠেছে এই সমস্ত হোটেলগুলি। সেই হোটেলগুলি নিয়ে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে আগামী বুধবারের মধ্যে হোটেলগুলিকে নিজ নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নতুবা প্রশাসনের তরফে হোটেল ভাঙার তৎপরতা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। এই নির্দেশ হোটেলগুলির কাছে পৌঁছনো মাত্রই জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত জানার পরেই নড়েচড়ে বসেন। মঙ্গলবার স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরির কাছ থেকে হোটেলগুলির তালিকা এবং গোটা ঘটনা জানার পরেই ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আলোচনা না করে হোটেল ভাঙার ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। প্রয়োজনে ওই সমস্ত হোটেলগুলির মালিকদের নিয়ে রাজ্য প্রশাসন বৈঠক করবে। সেই বৈঠকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের আগেই ফের আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন হোটেল মালিকদের একাংশ। আদালতের নির্দেশ বিবেচনার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছেন এক হোটেলের মালিক দেবদুলাল দাস মহাপাত্র।
আরও পড়ুন- River Erosion: আচমকা ভাঙন গঙ্গার পাড়ে, চোখের নিমেষে নদীগর্ভে পরপর দোকান-বাড়ি!
স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীকে হোটেলগুলির লিস্ট দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। তিনি জানিয়েছেন রাজ্য সরকার হোটেল ভাঙবে না। পর্যটন কেন্দ্রে এভাবে হোটেল ভাঙলে সত্যিই পর্যটন মানচিত্রে ব্যাপক ক্ষতি হবে।” মন্দারমণি হোটেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান দেবরাজ দাস বলেন, “হঠাৎ এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে হাজার হাজার মানুষের রুজিরুটিতে টান পড়বে। আমরা এক প্রকার হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন তাতে কিছুটা হলেও আমরা খুশি। রাজ্য প্রশাসন যাতে আগামী দিনেও আমাদের পাশে থাকে তার আবেদন জানাব।”