বিজেপির তারকা বিধায়ক হিরণ কি সত্যিই ফিরতে চলেছেন তৃণমূলে? হিরণের দলবদল জল্পনার পারদ আরও চড়িয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের। 'অভিষেকের কাছে রাখা খামে অনেক হরিণ ধরা পড়ে গেছে।' রবিবার খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়কের দলবদল জল্পনার পারদ তুঙ্গে তুলে বললেন মদন মিত্র।
সম্প্রতি তৃণমূলের কার্যালয়ে বসা হিরণের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। হিরণের পাশেই ওই ছবিতে বসে থাকতে দেখা যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতিকেও। যদিও ওই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। ওই ছবিটি তোলপাড় ফেলে দেয় রাজ্য রাজনীতিতে। তবে কি শেষমেশ জোড়াফুলেই প্রত্যাবর্তন ঘটছে তারকা এই বিধায়কের? জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। পশ্চিমে মেদিনীপুর জেলা রাজনীতির আঙিনা তো বটেই, রাজ্য রাজনীতিতেও জোর গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন- ভাঙড় আছে ভাঙড়েই! আরাবুলের বাড়ির পিছনেই মিলল বস্তাভর্তি তাজা বোমা
রবিবার সকালে হিরণের দলবদল জল্পনার পারদ আরও চড়িয়ে দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, 'কে যোগ দেবেন আর কে দেবেন না, এটা নেতৃত্বের ব্যাপার। অভিষেকের কাছে রাখা খামে অনেক হরিণ ধরা পড়ে গেছে। অভিষেকের প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দিলে বাংলায় পতাকা তোলার লোক পাবে না বিজেপি।'
আরও পড়ুন- কলকাতার খুব কাছেই এতল্লাট, পৈতৃক এই ভিটেয় বহু গুপ্তসভা করেন নেতাজি
যদিও মদন মিত্রের এই মন্তব্যকে বিশেষ আমল দিতে নারাজ বিজেপি। গেরুয়া দলের নেতা রাহুল সিনহা কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ককে কটাক্ষ করে এদিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'অভিষেকের কাছে ঠাঁই নেই মদন মিত্রের। অভিষেকের অ্যাপয়নমেন্টই উনি পান না। তাঁর মুখে এই ধরনের কথা কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। কিছু তৃণমূল নেতাকে কালীঘাটের পরিবার কেমোফ্লেক্স করে রেখেছে। ওদের মুখে এই ধরনের কথা অলীক কল্পনার মতো।'