Mahua Moitra On Kalyan-Madan Statement on Kasba Gangrape: কসবা কাণ্ডে এবার শাসক সাংসদদের মধ্যেই কাদা ছোড়াছুঁড়ি। কল্যাণ-মদনের নারী বিদ্বেষী মন্তব্যে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার মহুয়াকেই বেনজির নিশানা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের। তিনি রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মহুয়া মৈত্র'র নিশানা প্রসঙ্গে বলেন, "আমি নারী বিদ্বেষী নই। মহুয়া সবচেয়ে বেশি নারী বিদ্বেষী। ও কৃষ্ণনগরের কোন মহিলা নেত্রীকে উঠতে দেয় না। সংসদ পদ ভাঙিয়ে খাচ্ছে। নিজে নারী হয়ে একটা নারীর সংসার ভেঙে একটা ৬৫ বছরের পুরুষকে বিয়ে করে তার কাছ থেকে আমি নারী বিদ্বেষ নিয়ে কোন মন্তব্য শুনতে চাই না। 'আই হেট হার'। পাশাপাশি দলের মহিলাদের প্রতি 'জিরো টলারেন্স' নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা শাসক সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, 'জিরো টলারেন্স' ঘটনা ঘটার আগে না পড়ে"? যদিও কল্যাণের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র' দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "ওনার এই ধরণের কথাবার্তার কোন প্রতিক্রিয়া জানানোর আমি প্রয়োজন মনে করি না। ওনার এই ধরণেই বক্তব্যই নারী বিদ্বেষের আরও এক প্রমাণ"।
দক্ষিণ কলকাতার এক নামী আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। এই ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রের মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দল যখন আনুষ্ঠানিকভাবে দুই তৃণমূল নেতার মন্তব্যের দায়কে ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করে দায় ঝেড়ে ফেলেছে, তখনই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কড়া ভাষায় এর প্রতিক্রিয়া জানান।
কল্যাণ-মদনের বেফাঁস মন্তব্যের পর এক্স-এ এক পোস্টে মহুয়া মৈত্র লেখেন, 'ভারতে নারীবিদ্বেষ দলীয় সীমানা দেখে না।। পার্থক্য হল, যেই ভুল করুক না কেন, তৃণমূল কংগ্রেস এই জঘন্য মন্তব্যগুলির নিন্দা করে।' তৃণমূলের বিবৃতি অনুযায়ী, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্র তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত থেকে এই মন্তব্য করেছেন, তাঁদের এই মন্তব্য কোনও ভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। আমরা নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি এবং দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
তবে দলীয় অবস্থানের সঙ্গে সহমত হননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স-এ তিনি লেখেন, “আমি AITC-এর এই পোস্টের সঙ্গে একমত নই। দল কি পরোক্ষভাবে সেই নেতাদের সমর্থন করছে যারা অপরাধীদের আড়াল করছে?” তিনি আরও বলেন, “২০১১-র পর দলে উঠে আসা কিছু নেতাই এখন এমন অপরাধে প্রশ্নের মুখে। যাঁরা অপরাধীদের রক্ষা করছেন, তাঁদের থেকে আমি নিজেকে স্পষ্টভাবে আলাদা রাখতে চাই।”
অন্যদিকে মদন মিত্র তাঁর মন্তব্য নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে লেখেন, “আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়েছে। আমি কখনওই অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করিনি। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেয়েছে।” তিনি আরও জানান, দল চাইলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে তদন্তে সাহায্য করতে প্রস্তুত।
তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র বলেন, “এই ঘটনার তদন্ত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে।” কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই এসএসডি-র এক সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের SIT গঠন করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, যিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা। বাকি অভিযুক্তরা হলেন—জায়েব আহমেদ, প্রমিত মুখার্জি এবং কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়। মেডিকেল রিপোর্টে নির্যাতিতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং ধর্ষণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ঘটনায় চার সদস্যের একটি 'ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং' কমিটি গঠন করেছে, যারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে সেই রিপোর্ট জমা দেবে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে।
Kalyan Banerjee On Mahua Moitra: 'I Hate Her'...! মহুয়াকে ভয়ঙ্কর নিশানা কল্যাণের, পাল্টা কৃষ্ণনগরের সাংসদের চাঁচাছোলা মন্তব্য
Mahua Moitra On Kalyan-Madan Statement on Kasba Gangrape: দল যখন আনুষ্ঠানিকভাবে দুই তৃণমূল নেতার মন্তব্যের দায়কে ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করে দায় ঝেড়ে ফেলেছে, তখনই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কড়া ভাষায় এর প্রতিক্রিয়া জানালেন।
Mahua Moitra On Kalyan-Madan Statement on Kasba Gangrape: দল যখন আনুষ্ঠানিকভাবে দুই তৃণমূল নেতার মন্তব্যের দায়কে ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করে দায় ঝেড়ে ফেলেছে, তখনই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কড়া ভাষায় এর প্রতিক্রিয়া জানালেন।
মহুয়া মৈত্রকে বেলাগাম আক্রমণ কল্যাণের
Mahua Moitra On Kalyan-Madan Statement on Kasba Gangrape: কসবা কাণ্ডে এবার শাসক সাংসদদের মধ্যেই কাদা ছোড়াছুঁড়ি। কল্যাণ-মদনের নারী বিদ্বেষী মন্তব্যে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এবার মহুয়াকেই বেনজির নিশানা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের। তিনি রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মহুয়া মৈত্র'র নিশানা প্রসঙ্গে বলেন, "আমি নারী বিদ্বেষী নই। মহুয়া সবচেয়ে বেশি নারী বিদ্বেষী। ও কৃষ্ণনগরের কোন মহিলা নেত্রীকে উঠতে দেয় না। সংসদ পদ ভাঙিয়ে খাচ্ছে। নিজে নারী হয়ে একটা নারীর সংসার ভেঙে একটা ৬৫ বছরের পুরুষকে বিয়ে করে তার কাছ থেকে আমি নারী বিদ্বেষ নিয়ে কোন মন্তব্য শুনতে চাই না। 'আই হেট হার'। পাশাপাশি দলের মহিলাদের প্রতি 'জিরো টলারেন্স' নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা শাসক সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, 'জিরো টলারেন্স' ঘটনা ঘটার আগে না পড়ে"? যদিও কল্যাণের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র' দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "ওনার এই ধরণের কথাবার্তার কোন প্রতিক্রিয়া জানানোর আমি প্রয়োজন মনে করি না। ওনার এই ধরণেই বক্তব্যই নারী বিদ্বেষের আরও এক প্রমাণ"।
দক্ষিণ কলকাতার এক নামী আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। এই ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রের মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দল যখন আনুষ্ঠানিকভাবে দুই তৃণমূল নেতার মন্তব্যের দায়কে ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করে দায় ঝেড়ে ফেলেছে, তখনই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কড়া ভাষায় এর প্রতিক্রিয়া জানান।
কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে দলের বিরুদ্ধেই 'বিস্ফোরক' মমতা ঘনিষ্ঠ সাংসদ, বিরাট মন্তব্যে তোলপাড়
কল্যাণ-মদনের বেফাঁস মন্তব্যের পর এক্স-এ এক পোস্টে মহুয়া মৈত্র লেখেন, 'ভারতে নারীবিদ্বেষ দলীয় সীমানা দেখে না।। পার্থক্য হল, যেই ভুল করুক না কেন, তৃণমূল কংগ্রেস এই জঘন্য মন্তব্যগুলির নিন্দা করে।' তৃণমূলের বিবৃতি অনুযায়ী, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্র তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত থেকে এই মন্তব্য করেছেন, তাঁদের এই মন্তব্য কোনও ভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। আমরা নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি এবং দোষীদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
তবে দলীয় অবস্থানের সঙ্গে সহমত হননি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স-এ তিনি লেখেন, “আমি AITC-এর এই পোস্টের সঙ্গে একমত নই। দল কি পরোক্ষভাবে সেই নেতাদের সমর্থন করছে যারা অপরাধীদের আড়াল করছে?” তিনি আরও বলেন, “২০১১-র পর দলে উঠে আসা কিছু নেতাই এখন এমন অপরাধে প্রশ্নের মুখে। যাঁরা অপরাধীদের রক্ষা করছেন, তাঁদের থেকে আমি নিজেকে স্পষ্টভাবে আলাদা রাখতে চাই।”
চূড়ান্ত বৃষ্টির বৃষ্টির চরম সতর্কতা! বাংলা জুড়ে তুমুল দুর্যোগ কতদিন? জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর
অন্যদিকে মদন মিত্র তাঁর মন্তব্য নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে গিয়ে লেখেন, “আমার বক্তব্য বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়েছে। আমি কখনওই অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করিনি। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চেয়েছে।” তিনি আরও জানান, দল চাইলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে তদন্তে সাহায্য করতে প্রস্তুত।
তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র বলেন, “এই ঘটনার তদন্ত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে।” কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই এসএসডি-র এক সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের SIT গঠন করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র, যিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা। বাকি অভিযুক্তরা হলেন—জায়েব আহমেদ, প্রমিত মুখার্জি এবং কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়। মেডিকেল রিপোর্টে নির্যাতিতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং ধর্ষণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ঘটনায় চার সদস্যের একটি 'ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং' কমিটি গঠন করেছে, যারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে সেই রিপোর্ট জমা দেবে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছে।
১৪ ঘন্টা পর মুক্তি! লকআপ থেকে বেরিয়েই 'বিস্ফোরক' সুকান্ত, রাজ্যকে ধুইয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী