Malda BSF: মালদার হবিবপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার রুখতে গিয়ে বিএসএফের ওপর হামলা চালাল বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা। পাল্টা দুষ্কৃতীদের হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে তিন রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে হয় বিএসএফকে। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে এক বাংলাদেশি চোরা কারবারির।
বুধবার রাত দুটো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর থানার জাজইল গ্রাম পঞ্চায়েতের আগ্রা এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। যে এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে প্রায় ৩০০ মিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই বলেই বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। খোলা সীমান্তের সুযোগ নিয়েই গরু ও মহিষ পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল ওপারের দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। আর সেই পাচার রুখতে গিয়েই এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
বৃহস্পতিবার সকালে মৃত বাংলাদেশীর দেহ হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে বিএসএফের ৮৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানেরা। পাশাপাশি এই পাচার চক্রের ঘটনায় দুটি মহিষ উদ্ধার করেছে বিএসএফ। সেটিও সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বাংলাদেশি চোরা কারবারির নাম ইব্রাহিম শেখ (৩৮)। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তপুর এলাকায়।
হবিবপুরের আগ্রা এলাকার ভারত - বলাদেশ সীমান্তের ২২৮ নম্বর পিলারের অংশের প্রায় ৩০০ মিটার কাঁটাতারের বেড়া নেই । ওই সীমান্ত এলাকাটি উন্মুক্ত হওয়ায় চোরাকারবারিদের একটা বড় অংশ গরু পাচারের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ।
বিগত দিনে এই এলাকাতেও বিএসএফ চোরাকারবারিদের অপরাধমূলক কাজ রুখে দিয়েছে। বুধবার রাত দুটো নাগাদ সাত থেকে আট জন সশস্ত্র বাংলাদেশি চোরাকারবারি ওই সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে দুটি মহিষ নিয়ে পালাবার চেষ্টা করে। রাতে টহলদারি চালাবার সময় বিষয়টি নজরে আসে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের।
এরপরই জওয়ানরা চোরাকারবারিদের সতর্ক করে। কিন্তু বাংলাদেশী দুষ্কৃতীদের দলটি আচমকায় বিএসএফকে লক্ষ্য করে হাঁসুয়া, বল্লম ছোঁড়ে। এমনকি ইঁটও ছোঁড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের ৩ রাউন্ড গুলি ছুঁড়তে হয়। তাতে এক বাংলাদেশি চোরাকারবারির মৃত্যু হয়।
হবিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই সীমান্ত এলাকায় আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে এপার সীমান্তের কোনও দুষ্কৃতী চক্র জড়িত রয়েছে কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।