Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন ঘোষ পরিবারের তিন সদস্য। মালদার মহদিপুরের ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে তাঁদের পড়তে হল মহাবিপাকে। হোটেলে ঘর না পেয়ে বিরাট সমস্যা পড়তে হয়েছিল তাঁদের।
প্রেমের স্পর্শে দিব্যি সুস্থ 'আহত' বুলবুলি, গাড়িতেই সুখী 'সংসার', নজির সুশান্ত'র
বুধবার মালদায় রাত কাটিয়ে বৃহস্পতিবার ট্রেনে চেপেই কলকাতায় যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশী ওই পরিবারটির । কিন্তু মালদা শহরে এসে হোটেল পাওয়া নিয়েই সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন ওপার বাংলার ঘোষ পরিবার। অবশেষে স্টেশনের ওয়েটিং রুমে রাত কাটাতে হয়েছিল তাঁদের।
পদ্মাপারে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর মঙ্গলবার রাতেই মালদা হোটেল অনার্স অসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশীদের জন্য আপাতত কোনরকম হোটেলে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা যাবে না।
'বন্ধ হোক হিন্দুদের উপর অমানবিক অত্যাচার,' ইউনূসের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন জামা মসজিদের শাহী ইমাম
উল্লেখ্য, ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত মালদার ইংরেজবাজার থানার মহদিপুরে রয়েছে আন্তর্জাতিক ব্যানিজ্যকেন্দ্র। এই পথ দিয়ে বৈধ কাগজ নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন বাংলাদেশী নাগরিকেরা। চিকিৎসা এবং বিভিন্ন কাজের সূত্রে ভারতে আসেন বাংলাদেশী নাগরিকেরা। ফলে মালদা জেলার ইংরেজবাজার শহরে হোটেল ভাড়া নিতে হয় তাদের। প্রতিদিন গড়ে ৯০ থেকে ১০০ জন বাংলাদেশী নাগরিক বৈধ কাগজ নিয়ে মহদীপুর সীমান্ত পথ দিয়ে আসেন। থাকতে হয় ইংরেজবাজার শহরের হোটেলে।
সকালে স্কুলে শিক্ষকতা, রাতে খাবার ডেলিভারি, শিক্ষকের কঠোর জীবন সংগ্রাম চোখে জল আনবে
কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতির জন্য আপাতত ওপার বাংলার নাগরিকদের জন্য হোটেলের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মালদা হোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, ব্যবসার দিক থেকে ভাবলে আমাদের লোকসান হবে। কিন্তু বাংলাদেশে যে অস্থিরতা চলছে। তাতে আমরা আতঙ্কিত। বৈধ কাগজ নিয়ে শরনার্থী বাংলাদেশীরা ভারতে আসছেন, তা কি করে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব । বাংলাদেশী নাগরিকদের ঘর ভাড়া দেওয়ার পর আইনী সমস্যা এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সম্পাদক উত্তম বসাক হোটেল মালিকদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেন বাংলাদেশে অশান্তির পরিবেশ। ফলে দুষ্কৃতির বৈধ কাগজ ছাড়া চোরা পথে অনুপ্রবেশ করতে পারে। পরবর্তীতে হোটল মালিকরা আইনি সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন। তারই আতঙ্কে এই সিদ্ধান্ত।