/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/23/cats-2025-08-23-18-14-26.jpg)
মালদা মেডিকেলে হুলস্থূল! ব্যাপক উত্তেজনা
Malda Medical College: মালদা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের গোলমালে জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালেকে অফিস ঘরে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ ।
তাঁদের অভিযোগ, কর্তব্যরত অবস্থায় এক ইন্টার্ন চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে হেনস্থা, মারধর এবং তাঁর পোশাক ছিঁড়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় একজন চিকিৎসক ও তার পুরুষ সহকর্মীরা যুক্ত রয়েছে।
গত ২১ আগস্ট এই ঘটনার পর তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থা নেয় নি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বরঞ্চ যিনি হেনস্থার শিকার হয়েছেন, তাকেই ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে। আর এই ঘটনার প্রতিবাদেই শুক্রবার থেকে লাগাতার মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালকে অফিস ঘরে আটক করে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন আক্রান্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকের অনুগামীরা।
আরও পড়ুন- 'পহেলগাঁও কাণ্ডে নিহতদের রক্ত এখনও শুকায়নি...' এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে মোদীকে কড়া চিঠি
মালদা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ আগস্ট সার্জিক্যাল বিভাগে এক মহিলা ইন্টার্নের সঙ্গে এক পুরুষ ইন্টার্নের কোনও এক বিষয় নিয়ে বিবাদ বাঁধে৷ এরপর ওই মহিলা ইন্টার্নের এক সহকর্মী মালদা মেডিকেলের অপর পুরুষ ইন্টার্নকে ঘরে ঢুকিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ৷ এনিয়ে গত বৃহস্পতিবারই দুপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে দেন মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডাঃ প্রসেনজিৎ বর৷
কিন্তু শুক্রবার আক্রান্ত পুরুষ ইন্টার্নের পরিবারের লোকজন মালদা মেডিকেলে আসেন৷ বিকেল থেকে মারধরকারী ইন্টার্নের সাসপেন্ডের দাবিতে মেডিকেলের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে চলতে থাকে বিক্ষোভ৷।
শনিবার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে বিক্ষোভকারী ইন্টার্ন চিকিৎসক পৃথা রায়, সৌম্যদীপ কাঞ্জিদের বক্তব্য, আমাদের সহকর্মী মিজানুর রহমানকে ওইদিন অন্যায় ভাবেই মারধর করা হয়েছে। প্রতিবাদ জানাতেই কোনরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। এতেই বোঝা যাচ্ছে মেডিকেল কলেজে এখনো থ্রেট কালচার চলছে। আমরা দাবি করেছি সিসিটিভির ক্যামেরায় সমস্ত ঘটনা ছবি ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতার বাসভবনে CBI, আরজি কর কাণ্ডে জেরার সম্ভাবনা
সেই সিসিটিভির ক্যামেরার ফুটেজ দেখলেই অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। কারণ, মিজানুর রহমান কোনও অন্যায় করে নি। বরঞ্চ ওকে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধর করা হয়েছে। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে মেডিকেল কলেজের সেই রুমে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেটি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এই দাবিতেই মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালের অফিস ঘর ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলছে।
এদিকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই পক্ষ থেকে কোনরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপ্রতিম মুখার্জি জানিয়েছেন, দুদিন আগে মেডিকেল কলেজের দুই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। এরপরই দুই পক্ষই নিজেদের আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করে নেয়। কিন্তু আচমকাই শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর আমাকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটা অংশ অফিস ঘরে আটক করে ঘেরা করে রাখে। আমি ওদের বলেছি সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও এই বিক্ষোভ অবস্থানের ঘটনায় মেডিকেল কলেজের চিকিৎসা পরিষেবায় কোনরকম সমস্যা তৈরি হয় নি।