/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/23/malda-mirzapur-govt-colony-mass-bhai-phonta-celebration-2025-10-23-18-44-42.jpg)
অচেনা ভাইদের ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করলেন বোনেরা।
Bhai phonta 2025: অচেনা ভাইদের ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করলেন বোনেরা। বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা উপলক্ষে পুরাতন মালদা পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাচামারি গভর্মেন্ট কলোনির মির্জাপুর এলাকায় একটি কালী পুজা কমিটির উদ্যোগেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই এই গণ ভাইফোঁটায় প্রাথমিক স্তরের স্কুল পড়ুয়া থেকে হাইস্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নিয়েছিল।
বিকট শব্দে প্রবল বিস্ফোরণ, রেললাইন উড়িয়ে দেওয়ার ছক অল্পের জন্য বিরাট দূর্ঘটনা থেকে রেহাই
যদিও অধিকাংশ অচেনা ভাই-বোনেরা ছিল সংশ্লিষ্ট এলাকার আশেপাশের। দীর্ঘদিন ধরে যারা ভাইদের অভাবে ফোঁটা দিতে পারছিল না, আবার যেসব ভাইয়েরা বোনদের অভাবে ফোঁটা নিতে পারছিল না, মূলত তাদের কথা ভেবে বাচামারি গভমেন্ট কলোনির মির্জাপুর এলাকার জ্যোতি সংঘ ক্লাবের কর্মকর্তারা এদিন সংশ্লিষ্ট এলাকার কালী মন্দির প্রাঙ্গনে এই গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করে। যেখানে ৫০ জনেরও বেশি স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা এই অনুষ্ঠানে সামিল হয়। আর এই গণ ভাইফোঁটা দেখতে ওই এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
জাত-ধর্ম নির্বিশেষে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠানে সামিল অনাথ-দুঃস্থ শিশুরা, সম্প্রীতির অনন্য নজিরের সাক্ষী থাকল বাংলা
পুরাতন মালদা পুরসভার মির্জাপুর এলাকার ছাত্রী অনন্যা রায় , অনুশ্রী চ্যাটার্জী জানায়, তারা কেউ দশম শ্রেণীতে, আবার কেউ একাদশ শ্রেণীতে পাঠরত। পরিবারের একমাত্র কন্যা সন্তান হওয়ায় কোনদিনই ভাইফোঁটায় সামিল হতে পারে নি। ভাইদের অভাব থাকায় বছরের এই সময়টাই অন্তত হতাশায় তাদের কাটতো। কিন্তু সেই অভাব পূর্ণ করেছে স্থানীয় ক্লাবের কর্মকর্তারা । এদিন গণ ভাইফোঁটা কর্মসূচিতে সামিল হয়েছে তাঁরা । অচেনা ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করেছে ও মিষ্টিও খাইয়েছে।
বিরাট দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু, দুই জামাইকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবার
অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুল পড়ুয়া অদ্রিনিল ঘোষ, বিপ্লব চ্যাটার্জীদের বক্তব্য, তাঁরাও বাড়ির একমাত্র ছেলে। বোনের অভাবে কোনদিনই ভাইফোঁটা নিতে পারি নি তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভাইফোঁটার নানান পোস্ট, ভিডিও তারা দেখে এসেছে। ইচ্ছে থাকলেও তা পূরণ করতে পারছিল না। আর এইসব বোন বিহীন ভাইদের ফোঁটা দেওয়ার ব্যবস্থা করে স্থানীয় জ্যোতি সংঘ ক্লাবের কর্মকর্তারা। সেখানেই তাঁরা সামিল হয়ে অচেনা বোনেদের হাত থেকে ফোঁটা নিয়ে চকলেট , মিষ্টি উপহার হিসাবে তুলে দিয়েছে।
তারাপীঠে ধুন্ধুমার, বুক কাঁপানো ঘটনায় তোলপাড়
জ্যোতি সংঘ ক্লাবের কর্মকর্তা তথা গণ ভাইফোঁটার উদ্যোক্তা বাপি রায়, প্রতীক চ্যাটার্জীদের বক্তব্য, আমাদের কারোর বোন নেই । আবার কারো দাদা নেই। সুতরাং এই অভাব পূরণ করতে একটাই রাস্তা সেটা হচ্ছে গণ ভাইফোঁটা। ক্লাবের সমস্ত সদস্যদের উদ্যোগে এদিন এই গণ ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছে। লুচি , মিষ্টি সহ নানান ধরনের মুখরোচক খাওয়ারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এদিন স্থানীয় এলাকার প্রচুর ছেলেমেয়েরা গণ ভাইফোঁটায় সামিল হয়ে আনন্দের সঙ্গে এই উৎসব পালন করেছেন।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us