chairperson chaitali ghosh Malda TMC: দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন বাবলা সরকার। তার মৃত্যুর পর মালদা সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রীকে অসমাপ্ত কাজের ভার দেওয়া হবে। সেই বাবলা সরকারের স্ত্রীকেই এবারে বড় দায়িত্ব দিল দল।
বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় প্রায় চার মাস পরে নিহত নেতার স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকারকে দলের জেলা চেয়ারপারসন পদে বসাল তৃণমূল। আর তাকে ঘিরে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাহলে কি সত্যি দলের বড় পদ পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন বাবলা সরকার ? আর তার কারণেই জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছিল বাবলা সরকারকে ?
কারণ বাবলা সরকার খুন হওয়ার প্রথম দিন থেকেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল দলেরই বড় দায়িত্ব পেতে চলেছেন তিনি। সে কারণেই কি গুলিতে ঝাঁঝরা করে খুন করা হয়েছিল বাবলা সরকারকে এই প্রশ্ন উঠেছিল ঘনিষ্ঠ মহলে। এরই মধ্যে নিহত নেতার স্ত্রীকে মালদা জেলার তৃণমূল দলের চেয়ারপারসন পদে বসানোয় সেই জল্পনাইয় ফের একবার উস্কে দিয়েছে।
মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিস কুন্ডু জানান, চৈতালি ঘোষ সরকার জন্ম লগ্ন থেকেই আমাদের দলের ধারক এবং বাহক হিসেবে কাজ করেছেন। তাই আমরা মনে করি নিহত নেতার স্ত্রীকে সঠিক সম্মান বা জায়গা দেওয়া হয়েছে। বাবলা সরকার আমাদের অভিভাবক ছিলেন। তিনি খুন হয়েছেন। তার আসামিরা ধরা পড়েছে। সেখানে উস্কে দেওয়া বা জল্পনা বলে কিছু আছে বলে আমরা মনে করি না।
এদিকে নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রীকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন খুন হওয়া তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারের ওয়ার্ডের নাগরিকরা। তারা বলছেন বাবলা সরকার চলে যাওয়াতে তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে তার স্ত্রীকে যোগ্য সম্মান দেওয়ায় সেই ক্ষতি পূরণ হবে। বাবলা সরকার খুন হয়েছেন বলেই চৈতালি ঘোষ সরকারকে চেয়ারপার্সন করা হয়েছে তা ঠিক নয় চৈতালি ম্যাডাম এই পদ পাওয়ার যোগ্য জানাচ্ছেন নাগরিকরা। উল্লেখ্য জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল কাউন্সিলর তথা দলের জেলা সহ-সভাপতি বাবলা সরকারকে।