Malda Tmc leader Dulal Sarkar murder case: তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের পর এবার তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর পোস্টার কেটে দিল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই মালদা শহর জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার খবর পেয়ে মহানন্দা পল্লি এলাকায় নতুন করে তদন্তে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, যারা এই কাজে যুক্ত তাদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করতে হবে।
এদিকে তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় দলেরই টাউন সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে ডেকে পাঠাল ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয়েছে তার দুই ভাই বীরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং অখিলেশ তেওয়ারিকেও। মঙ্গলবার ইংরেজবাজার থানায় দুপুরে এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের।
ইংরেজবাজার থানায় ধাপে ধাপে এই তিনজনকে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারির ভাই বীরেন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তাঁদের কেউ জড়িত নন। তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে সেই সঙ্গে তদন্তের কাজে পুলিশকে সহযোগিতার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে পুরসভা ভোটের সময় 'নন্দু শিবির' এবং 'বাবলা শিবির' এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল হয়েছিল। বাবলা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নন্দু এবং তার ভাইকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। দুলাল সরকার ওরফে বাবলা খুনে সেই সংঘাতের ঘটনা দায়ী কিনা এবার সেটাই জানার চেষ্টা তদন্তকারীদের।
এদিকে, মঙ্গলবার সাতসকালে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের মহানন্দা পল্লী এলাকায় নিহত দুলাল সরকারের ছবি দেওয়া পোস্টার কে বা কারা কেটে দিয়েছে তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, "এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা। বাবলা সরকারের মৃত্যুর পর তাঁর ওয়ার্ডেই দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে ছবি দেওয়া একটি পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। শুনেছি ওই পোস্টরটি কেউ বা কারা কেটে দিয়েছে। পুলিশকে অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের ধরা উচিত।"