Maldah TMC MLA poached Local club: তৃণমুলের বর্ষীয়ান বিধায়কের দাদাগিরি। জলাশয় দখলের পর এবার রতুয়ার ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্লাব দখলের অভিযোগ উঠল। বহিরাগত দলীয় কর্মীর সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ক্লাবের তালা ভেঙে দখল করেছে বিধায়ক। এমনই অভিযোগ তুলেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের দারস্থ হয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এক প্রকারের দাদাগিরির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে ক্লাবের সদস্যরা। বিধায়কের এমন কর্মকাণ্ডকে বিরোধীরা যেমন আক্রমণ করছে ঠিক তেমনি ভাল চোখে দেখছে না তাঁর দলেরই একাংশ।
জানা গিয়েছে,মালদার রতুয়া থানার অন্তর্গত মহানন্দটোলা এলাকার সরকারি অনুমোদিত একটি ক্লাব কাটাহা দিয়ারা বাসন্তী সংঘ। সামাজিক কার্যকলাপ-সহ বিভিন্ন রকম পূজার্চনার সঙ্গে যুক্ত এই ক্লাব। এই ক্লাব ঘরেরই তালা ভেঙে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রতুয়া বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ক্লাব সম্পাদক কুলজ্যোতি ঘোষ-সহ সদস্যদের অভিযোগ, চলতি মাসের ৮ তারিখ দুপুরে বহিরাগত দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে এই ক্লাবে হানা দেন বিধায়ক।
ক্লাবের তালা ভেঙে ঘরের ভেতর দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢুকে পড়েন বিধায়ক। ক্লাবের সমস্ত নিয়ম ভেঙে এই ক্লাব দখল করেছেন বিধায়ক। কেবলমাত্র জনপ্রতিনিধির ক্ষমতা ব্যবহার করে একপ্রকারে দাদাগিরি চালিয়েছেন বর্ষীয়ান এই বিধায়ক বলেই অভিযোগ ক্লাব কর্তৃপক্ষের। গোটা ঘটনায় মহানন্দটোলা পুলিশ ফাঁড়িতে বিধায়ক-সহ তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর থেকেই ক্লাবে যাওয়া আসা বন্ধ করেছে সমস্ত সদস্যরা। প্রশাসনিক পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ক্লাব সদস্যরা। রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, 'কোনও গন্ডগোল হয়নি। ওটা আমার বাড়ি, আমার ক্লাব। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে করুক।'
আরও পড়ুন অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার পয়সা নেই, অসুস্থ স্ত্রীকে নিজের টোটোয় চাপিয়ে কলকাতার হাসপাতালে রওনা প্রৌঢ়ের!
রতুয়ার সিপিআইএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, 'তৃণমূলের এটাই হচ্ছে কালচার। দখলদারি লুটপাট এগুলোই তো তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা করে আসছে। রতুয়ার এই বিধায়ক বয়স হলেও নিজের স্বভাব বদলাতে পারেননি। একজন জনপ্রতিনিধি জনগণের কথা না ভেবে ব্যক্তিগত স্বার্থটাই প্রথমে দেখেন। ক্লাব হোক আর জলাশয় এই বিধায়ক নিজের স্বার্থটাই প্রথমে দেখেন তাই করছেন।'
জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ফজলুল হক বলেছেন, 'একজন বিধায়কের এমন কর্মকাণ্ড সঠিক নয়। বিধায়কের চোখে নয় কানে দেখার একটা স্বভাব রয়েছে। আর কানে দেখেই কারও দ্বারা তিনি প্ররোচনায় পড়েছেন এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন। বিধায়কের এমন কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।'
আরও পড়ুন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয়, জানতই না ইডি! কী জানাল কেন্দ্রীয় সংস্থা?
দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি তৃণমূলের সংস্কৃতি হচ্ছে লুটপাট আর দখল। কারণ ওই বিধায়ক যখন কংগ্রেসের ছিলেন এই ধরনের কোনও আচরণ করেনি। যখন দল পরিবর্তন করে শাসক দলে গেছে তাহলে তাঁর ভাবমূর্তি কী হবে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে। আর সেই কারণেই কখনও ঝান্ডা হাতে কখনও বা অন্যান্য বহিরাগতদের নিয়ে এসে এইসব দখল করছে।'