Mamata Banerjee Announcements for Safety and Government Hospital: আরজি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা জোরদার করতে একমাসেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজেদের দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং পরে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তাঁরা। এবার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরাপত্তা জোরদার করতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছেন মমতা।
বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি পুলিশে ১২ হাজার নিয়োগের কথা জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতালের অধ্যক্ষ, জেলা হাসপাতালগুলির অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন মমতা।
তিনি জানিয়েছেন, একটি অ্যাপ তৈরি করা হবে, তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে গোটা রাজ্যকে। সুপ্রিম কোর্ট রাত্তিরের সাথীর যে দুটি বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে, সেগুলি বাদ দিয়ে বাকি অংশগুলি বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হাসপাতালগুলিতে বাড়তি টয়লেট, বিশুদ্ধ পানীয় জল, রেস্টরুম, পর্যাপ্ত আলো এবং সিসি ক্যামেরার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পূর্ত দফতরের হাতে সবটা না ছেড়ে অধ্যক্ষদের দায়িত্ব নিতে হবে। যাতে দ্রুত কাজ শেষ হয়। এনিয়ে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন আরজি কর কাণ্ড থেকে শিক্ষা! হাসপাতালের বেসরকারি রক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেবে লালবাজার
মমতা জানিয়েছেন, কিছুটা কাজ হয়েছে, এখনও বাকি আছে কিছুটা। বন্যা পরিস্থিতির জন্য অন্য কাজে আধিকারিকরা ব্যস্ত, তাই তাড়াতাড়ি শেষ করা হবে কাজ। এদিকে, আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনামঞ্চে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন সমস্ত হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন ফের মুখ্যসচিবকে ইমেল জুনিয়র ডাক্তারদের, কারণ ঘিরে জোর চর্চা
সেইমতো এদিন তিনি জানান, 'রোগীকল্যাণ সমিতি ভেঙে দিয়েছি। অধ্যক্ষরা এখন সমিতির চেয়ারম্যান। সদস্য হিসেবে থাকবেন MSVP, একজন করে জুনিয়র, একজন করে সিনিয়র ডাক্তার বা বিভাগীয় প্রধান, একজন নার্সদের পক্ষ থেকে এবং একজন জনপ্রতিনিধি থাকবেন কমিটিতে। তাঁরাই দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। অধ্যক্ষদের বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালু করতে বলেছি। যাঁরা সাফাই কর্মী, তাঁদের তথ্য যাচাই করতে বলা হয়েছে। নির্মাণকার্যে বাইরে থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদের ছবি, ঠিকানা, সব নথি রাখতে হবে। বায়োমেট্রিক কার্ডও রাখতে বলা হয়েছে। দেখভাল করতে বলা হয়েছে হস্টেলেরও।'