কাশ্মীর হামলায় শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে মিছিলে হাঁটলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেল ৪টেয় শহরে মোমবাতি মিছিল শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। হাজরা মোড় থেকে মোমবাতি নিয়ে হেঁটে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত যান মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলে শামিল হন বহু মানুষ। এদিন মোমবাতি মিছিল শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জওয়ানদের স্যালুট জানাই। জওয়ানদের পরিবারের পাশে আছি। সন্ত্রাস দমনে আমরা সকলে একসঙ্গে আছি।’’ কলকাতাসহ রাজ্যের সব ব্লকে রবিবার ২টো থেকে ৩টে পর্যন্ত শান্তি মিছিল করা হবে রবিবার, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন, শেষ বিদায়, শহিদ বরণে অশ্রুসজল বাংলা
মমতার পাশাপাশি এদিন শহিদ স্মরণে শহরে মিছিল বামেদের। ধর্মতলায় বামেদের মিছিল আটকায় পুলিশ। বামেদের মিছিলে রয়েছেন বিমান বসু-সহ অন্যরা। মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলের জন্যই বামেদের মিছিল আটকানো হল বলে জানা গিয়েছে। হাজরা মোড় থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মমতার মিছিল। দুটি মিছিলই চৌরঙ্গি রোড ধরে যায়। একই পথে মিছিল হওয়ায় বামেদের মিছিল আটকাল পুলিশ।
আরও পড়ুন, বাবলুর আর এক্সটেনশন নেওয়া হল না
কাশ্মীর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জওয়ানদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নিরাপত্তার বেড়াজাল এড়িয়ে কীভাবে এই হামলা ঘটল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেছেন, ‘‘এটা গোয়েন্দা ব্যর্থতা। কী করছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা?’’ অন্যদিকে, কাশ্মীরের হামলার পিছনে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে মোদী সরকার। পাকিস্তানকে এ নিয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মোদী। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেছেন, ‘‘যদি এ ঘটনায় পাকিস্তানের হাত থাকে, তবে পদক্ষেপ করা হোক। কিন্তু তার আগে সবটা জেনে নেওয়া ভাল। আমরা চাই তদন্ত করা হোক। হামলার পিছনে কে, সেটা তদন্ত করে দেখা হোক।’’
বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে করে আজ বাংলার দুই জওয়ান বাবলু সাঁতরা ও সুদীপ বিশ্বাসের কফিনবন্দি দেহ ফিরছে। বাংলার শহিদদের শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই ভিড় কলকাতা বিমানবন্দরে। এদিন দুই জওয়ানকে বিমানবন্দরে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হবে। বিমানবন্দর থেকেই জওয়ানদের কফিনবন্দি দেহ রওনা দেবে তাঁদের বাড়ির উদ্দেশে। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ জন জওয়ান। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এ রাজ্যের দুই জওয়ান বাবলু সাঁতরা ও সুদীপ বিশ্বাস। গতকাল দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে শহিদ জওয়ানদের শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জওয়ানদের শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন রাহুল গান্ধীও।