Mamata Banerjee: মঙ্গলবার হুগলির কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফের একবার বাংলা, বাংলা ভাষা এবং বাঙালি নিয়ে বলতে গিয়ে মহাপুরুষদের প্রসঙ্গ টানলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মুখে একাধারে এল রামকৃষ্ণদেব, সারদাদেবী, স্বামী বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম। সেই সঙ্গে স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই এদিন রাজ্যে-রাজ্যে বাঙালি হেনস্থা ও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলা ভাষা নিয়ে তৈরি বিতর্কের জিগির টেনে মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রের শাসকদল BJP-কে।
এদিন রামকৃষ্ণ মঠের এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "স্বামী বিবেকানন্দ একতার কথা বলতেন। বাংলাতেই একথা বলেছেন তিনি। আর বলছে বাংলা কোনও ভাষা নয়। বাংলা ভাষা নিয়ে খেলবেন না। কেউ অসম্মান করার চেষ্টা করবেন না।" কামারপুকুরের মঞ্চ থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে রামকৃষ্ণদেবের প্রসঙ্গও উঠে আসে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ছোট থেকেই আমার মা-বাবা শ্রীরামকৃষ্ণদেবের কথা শিখিয়েছেন। তা মাথায় আছে। যা ব্রেনে আছে, কখনও তা ড্রেনে যাবে না।"
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে থাকার বাণী আমরা তাঁর কাছ থেকেই শিখেছিলাম! রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। কথামৃত আমার মুখস্থ। কথামৃত ভালো করে পড়ুন। রামকৃষ্ণদেব বলেছিলেন, জলকে কেউ জল বলে, কেউ পানি বলে, কেউ ওয়াটার বলে। তফাৎ তো শুধু এটুকুই।"
আরও পড়ুন- Bengali controversy: বাংলা, বাঙালি, বাংলাদেশি বিতর্ক, BJP-তৃণমূলে 'সেটিং' দেখছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ
উল্লেখ্য রাজ্যের প্লাবন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলা সফরে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হুগলির কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ মিশনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে গোঘাটের একটি ত্রাণ শিবিরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে গোঘাট, আরামবাগের বিস্তীর্ণ প্রান্ত। দুর্গতদের এনে ত্রাণ শিবিরে রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ওই এলাকারই একটি ত্রাণ শিবিরে এদিন গিয়ে নিজে হাতে দুর্গতদের খাবার পরিবেশন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- Suvendu Adhikari: 'আমাকে মেরে ফেলতেই হামলা', রোহিঙ্গা উৎখাতে বুলডোজার চালানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে নিজেদের নানা অভাব-অভিযোগের কথা উগরে দেন স্থানীয়রা। রামকৃষ্ণ মঠের অনুষ্ঠান সেরে এদিন মুখ্যমন্ত্রী রওনা দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের উদ্দেশে। ফি বর্ষায় ঘাটালের সেই জল-যন্ত্রণা ফিরেছে এবারও। এবারও জলের তলায় চলে গিয়েছে ঘাটালের বিস্তীর্ণ প্রান্ত।