Bengali language:বাংলা, বাঙালি, বাংলাদেশি নিয়ে তোলপাড় দেশ। একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিকের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছিল অনেককে তো বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের আবার সেখান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে BJP-র দাবি, রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশিদের দেশ থেকে তাড়ানো নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলো। এবার এই ব্যাপারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট ভাষাবিদ পবিত্র সরকার। কেন এমন বাংলা বিদ্বেষ তার কারণও বলেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে পবিত্র সরকার বলেন, "বাংলাদেশি ভাষা বলে কোনও ভাষা নেই। কোনও অভিধানে বাংলাদেশি ভাষা বলে কোনও ভাষা পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশি লোক, তাঁদের নিজস্ব একটা ভাষা আছে, কিন্তু সেটা বাংলা। আঞ্চলিক ভাষা সিলেটের ভাষা বা অন্য কোনও জায়গার ভাষা, কিন্তু সেটা বাংলা। বাংলাদেশি ভাষা বলে কোনও ভাষা নেই। পুলিশের যে কর্তা এই ভাষা লিখেছেন তিনি জানেন না।" দিল্লি পুলিশের এক কর্তা বাংলাদেশি ভাষা বলে সরকারি চিঠিতে উল্লেখ করায় তুমুল বিতর্ক দেখা দেয়। পরের বিতর্ক বাংলা কোনও ভাষা নয়।
তৃণমূল কংগ্রেস অমিত মালব্যের 'বাংলা বলে কোনও ভাষা নেই' মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে। কয়েক দিন আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'ভাষা আন্দোলন' শুরু করেছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা, বাঙালি অন্যতম ইস্যু হচ্ছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পবিত্র সরকার বলেন, "বাংলা বলে কোনও ভাষা নেই, অমিত মালব্য বলে কে একজন বলেছেন। বেশি দূর যেতে হবে না। মনে হয় ভারতের সংবিধান উনি পড়েননি। ভারতের সংবিধানে অষ্টম তফসিল বলে একটা ব্যাপার আছে। তাতে ২২টা ভাষার মধ্যে অসমিয়ার পরে বাংলা আছে। এটা যেন দেখে নেয়। বাংলার পাশে বাংলাদেশ একটা দেশ। অভিধানে বাংলা একটা ভাষা পাবে। অশিক্ষিত লোকেরা যখন মুখ খোলে তখন তা নিয়ে হইচই হয়। এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। এগুলোকে ভুলে যাওয়াই ভালো।"
আরও পড়ুন- West Bengal News live updates:কল্যাণের পদত্যাগপত্র গৃহীত, জানাল তৃণমূল, কাকলির সঙ্গেই শতাব্দীকেও 'বড় দায়িত্ব'
তবে বাংলা, বাঙালি বিদ্বেষের যে অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে উঠছে তাতে 'সেটিং' দেখছেন বিশিষ্ট এই শিক্ষাবিদ। এর আগে কংগ্রেস, সিপিএম একাধিক ইস্যুতে বিজেপি ও তৃণমূলের সেটিং তত্ব নিয়ে সরব হয়েছে। পবিত্র সরকার বলেন, "বিজেপি কি করছে? বাংলাকে ছেড়ে দিয়েছে। ওই যে সেটিং যাকে বলে! তৃণমূল জিতবে ধরে নিয়ে বা তৃণমূলকে জিততে সাহায্য করবে বলে এই সমস্ত আবোল-তাবোল কথা বলছে। এভাবে বিজেপির ভরাডুবি হবে। যে ভাবে কথাগুলো অমিত মালব্য বললেন। বাঙালি ভোট দেবে? মানে পুরোটা পরিকল্পিত। তৃণমূলকে ময়দানটা ছেড়ে দিচ্ছে।" পবিত্র সরকারের আরও দাবি, "বাঙালি ছাত্রদের, বুদ্ধিজীবীদের আক্রমণ করছে না। পরিযায়ী শ্রমিকেদের আক্রমণ করছে। তাঁদের মুসলমান বলে, বাংলাদেশি বলে তুলে নিচ্ছে।"
আরও পড়ুন-Suvendu Adhikari: 'আমাকে মেরে ফেলতেই হামলা', রোহিঙ্গা উৎখাতে বুলডোজার চালানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর