জমির খোঁজ কয়েক বছর ধরেই হচ্ছিল। এবার তারাপীঠ সংলগ্ন রামপুরহাট থানার উদয়পুর গ্রামের কাছে ৫১ সতীপীঠের শিল্যানাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ঠিক ঠাক থাকলে এবার সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে এলেই বাড়তি পাওনা হিসাবে দর্শন করা যাবে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকা সতীর ৫১ পীঠ।
এমনই উদ্যোগ নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুদিনের বীরভূম সফরে এসে মঙ্গলবার বীরভূমের ইলামবাজার থেকে তারাপীঠে ৫১ পীঠের আদলে ৫১ টি সতীর মন্দির গড়ার প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন তিনি। সেই প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপিস্থিত ছিলেন রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
তারাপীঠ মন্দির এলাকায় সার্বিক উন্নয়নের জন্য আগেই গড়ে তোলা হয়েছে তারাপীঠ - রামপুরহাট উন্নয়ন পরিষদ। সেই উন্নয়নের মাধ্যমে তারাপীঠ মন্দির এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। তীর্থক্ষেত্র পরিণত হয়েছে পর্যটন কেন্দ্রে। এবার তারাপীঠ মন্দিরে আসা পূণ্যার্থী ও পর্যটকদের দুদিন ঘুরে দেখার কথা ভেবে তারাপীঠ এলাকায় গড়ে তোলা হবে সতীর ৫১ পীঠ। রামপুরহাট - তারাপীঠ রাস্তার উদয়পুর মোড়ের কাছে ৩১ একর জমিতে গড়ে তোলা হবে ৫১ টি সতীপীঠের আদলে সতীপীঠ। তারজন্য প্রথম পর্যায়ে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬ কোটি টাকা। সেই টাকায় বনদফতরের জমিতে গড়ে তোলা হবে সতীর ৫১ টি পীঠের আদলে ৫১ টি মন্দির।
এদিকে তারাপীঠ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় সতীর ৫১ পীঠের আদলে মন্দির হওয়ার খবরে খুশি তারাপীঠ মন্দির কমিটি। তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, "সিদ্ধপীঠ তারাপীঠে নিত্যদিন হাজার হাজার মানুষ আসেন। ৫১ পীঠ গড়ে উঠলে আরো ভিড় বাড়বে তারাপীঠে। তাতে এলাকার যেমন ব্যবসা বাড়বে তেমনই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে"।
লজ ব্যবসায়ী পরিমল প্রামানিক বলেন, "তারাপীঠে মন্দির ছাড়া ঘুরে দেখার মতো তেমন কিছু নেই। ফলে পুণ্যার্থীরা একদিন থেকেই ফিরে যান। ৫১ সতীপীঠ গড়ে তোলা হলে এলাকার পর্যটন ব্যবসা বাড়বে। মানুষ একদিনের পরিবর্তে দু-চারদিন কাটিয়ে যাবে তারাপীঠে"।