বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে মঙ্গলবার দলীয় বৈঠকে মুখ খুলেছিলেন। এবার বুধবার প্রকাশ্যে প্রশাসনিক বৈঠকে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুরের বৈঠকে পুলিশের উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট নিয়ে সুর চড়ালেন মমতা। বললেন, “পুলিশ ইচ্ছা করলে গুলি চালাতে পারত। কিন্তু শান্তিপূর্ণ ভাবে পুরো বিষয়টাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। অনেক সংযম দেখিয়েছে।”
গতকাল কলকাতায় বিজেপি কর্মীদের মারে গুরুতর জখম কলকাতা পুলিশের এসিপি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাত ভেঙেছে তাঁর। এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই পুলিশকর্তার সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচার করাতে হবে।
এর পর মমতা বলেন, “গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন হতেই পারে। গণতন্ত্রে সবার আন্দোলন করার অধিকার আছে। আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু ট্রেন ভাড়া করে গুন্ডা আনবে? ব্যাগে করে বোম নিয়ে আসব, বন্দুক নিয়ে আসব, পাথর নিয়ে আসব, এসব আবার কী!”
আরও পড়ুন পুলিশকর্তাকে বেধড়ক মারধর বিজেপি কর্মীদের, খুনের চেষ্টার মামলা রুজু কলকাতা পুলিশের
পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাতেও নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। মমতা বলেন, কালকে বিজেপির নবান্ন অভিযানে ব্যবসায়ীদের বিপুল ক্ষতি হয়েছে। বড়বাজার, মঙ্গলাহাট বন্ধ ছিল। পুজোর আগে ব্যবসায়ীদের বড় ক্ষতির মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। যাঁরা গতকাল অ্যান্টি-সোশ্যাল কাজকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে বলেছিল পুলিশ-প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন আহত ‘মীনাদি’কে হাসপাতালে দেখতে গেলেন ফিরহাদ, ঘুচল রাজনৈতিক বিভেদ
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারে বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া দলের দাবি, তাঁদের এই অভিযান পুরোপুরি সফল। তবে বিজেপির এই মেগা কর্মসূচিকে এদিন পাত্তাই দিতে চাইলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ”বিজেপির নবান্ন অভিযানে লোকই হয়নি, ওদের বেলুন ফুস। ওঁদের আর গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই।”