Mamata Banerjee: মানবিক মমতা! হঠাত থামল কনভয়,আবেগঘন মুহূর্ত মন ছুঁয়ে গেল লাখো বাঙালির

Mamata Banerjee: সোমবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক শেষে বাগডোগরার এক চা-বাগানে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন, খোঁজ নেন নানান বিষয়ে।

Mamata Banerjee: সোমবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক শেষে বাগডোগরার এক চা-বাগানে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন, খোঁজ নেন নানান বিষয়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
মানবিক মমতা! হঠাত থামল কনভয়,আবেগঘন মুহূর্ত মন ছুঁয়ে গেল লাখো বাঙালির

মানবিক মমতা! হঠাত থামল কনভয়,আবেগঘন মুহূর্ত মন ছুঁয়ে গেল লাখো বাঙালির

Mamata Banerjee: উত্তরবঙ্গ সফরের শেষ দিনে একদিকে যখন প্রশাসনিক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে ফেরার পথে হৃদয়স্পর্শী মুহূর্ত তৈরি করলেন বাগডোগরার চা-বাগানে। চা-শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় কাটালেন কিছু সময়, শ্রমিক ও শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় উপহার। 

Advertisment

সোমবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক শেষে বাগডোগরার এক চা-বাগানে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন, খোঁজ নেন—তারা কখন কাজে আসেন, কতক্ষণ কাজ করেন এবং তাদের সন্তানরা স্কুলে যায় কিনা। শ্রমিক মা’দের হাতে তুলে দেন শাড়ি, আর শিশুদের হাতে তুলে দেন চকোলেট ও খেলনা পুতুল।

মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহে ও উপহারে আপ্লুত হয়ে ওঠেন চা-শ্রমিকরা। কেউ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, কেউ আবার কথা বলেন একান্তে।  এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা “বাচ্চাদের নিষ্পাপ হাসি আর মায়েদের আশীর্বাদ নিয়ে আমি সবুজ চা-বাগান পরিদর্শন করলাম। তাদের ভালোবাসায় হৃদয় সমৃদ্ধ।”

উত্তরকন্যায় অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক সভা থেকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে ‘গ্রুপবাজি’-র অভিযোগ তুলে বলেন, “কোচবিহার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত চন্দনবাবুকে কাজে লাগানো হচ্ছে না কেন?” তিনি জেলা পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপের নির্দেশ দেন।

Advertisment

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “সীমান্তবর্তী জেলা অত্যন্ত স্পর্শকাতর (Sensitive)। BSF কাজ করছে বলে স্থানীয় পুলিশ দায় এড়াতে পারে না।” তিনি আইসি-ওসিদের সতর্ক থেকে ঘন ঘন পেট্রোলিং চালানোর নির্দেশ দেন।

উত্তরবঙ্গ সফরের শেষ দিনে একদিকে যখন প্রশাসনিক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে ফেরার পথে হৃদয়স্পর্শী মুহূর্ত তৈরি করলেন বাগডোগরার চা-বাগানে। চা-শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় কাটালেন কিছু সময়, শ্রমিক ও শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় উপহার।  

সল্টলেকে বিজেপি দফতরে চাকরিহারা আন্দোলনকারীরা, হঠাৎ কী হল?

সোমবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক শেষে বাগডোগরার এক চা-বাগানে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন, খোঁজ নেন—তারা কখন কাজে আসেন, কতক্ষণ কাজ করেন এবং তাদের সন্তানরা স্কুলে যায় কিনা। শ্রমিক মা’দের হাতে তুলে দেন শাড়ি, আর শিশুদের হাতে তুলে দেন চকোলেট ও খেলনা পুতুল। মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহে ও উপহারে আপ্লুত হয়ে ওঠেন চা-শ্রমিকরা। কেউ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, কেউ আবার কথা বলেন একান্তে।  এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা “বাচ্চাদের নিষ্পাপ হাসি আর মায়েদের আশীর্বাদ নিয়ে আমি সবুজ চা-বাগান পরিদর্শন করলাম। তাদের ভালোবাসায় হৃদয় সমৃদ্ধ।”

উত্তরকন্যায় অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক সভা থেকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে ‘গ্রুপবাজি’-র অভিযোগ তুলে বলেন, “কোচবিহার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত চন্দনবাবুকে কাজে লাগানো হচ্ছে না কেন?” তিনি জেলা পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপের নির্দেশ দেন।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “সীমান্তবর্তী জেলা অত্যন্ত স্পর্শকাতর (Sensitive)। BSF কাজ করছে বলে স্থানীয় পুলিশ দায় এড়াতে পারে না।” তিনি আইসি-ওসিদের সতর্ক থেকে ঘন ঘন পেট্রোলিং চালানোর নির্দেশ দেন।

সীমান্তবর্তী জেলার ডিএম, এসপিদের আরও বেশি সতর্ক থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।  সীমান্তবর্তী জেলার থানার সব আইসি ওসিদের চোখ কান খোলা রেখে কাজ করারও নির্দেশ দেন তিনি। আজকের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নিরাপত্তা, সতর্কতা ও শান্তি — এই তিন মূল মন্ত্রকে সামনে রেখেই এবার উত্তরবঙ্গ ও সীমান্ত এলাকায় প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিনের বৈঠক থেকে সীমান্তবর্তী এলাকার নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেন, “পুলিশ এখন আর আগের মত টহল দেন না। আগে পুলিশ তিন-চারবার এলাকায় যেত, এখন সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। যত বেশি পুলিশের ভ্যান ঘুরবে, মানুষ বুঝবে পুলিশ অ্যালার্ট রয়েছে।” তিনি স্পষ্ট করে জানান, সীমান্ত এলাকা খুব স্পর্শকাতর (Sensitive Zone)। শীতলকুচির মতো ঘটনায় ফের উত্তেজনা ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, “BSF কাজ করছে বলে আইসি-ওসি রা দায়িত্ব এড়িয়ে যাবেন, এটা হতে পারে না। পাড়ার ক্লাবগুলোকেও সক্রিয় রাখতে হবে।”

কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, কালিম্পং, উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুর – এইসব জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত থাকায় পুলিশ, BSF ও প্রশাসনকে যৌথভাবে সতর্ক থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর অভিযোগ, কিছু ‘বাইরের লোক’ ভোটার-আধার-প্যান নম্বর জোগাড় করছে। কারা এই তথ্য নিচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে বলেন পুলিশকে। কেউ অসম থেকে, কেউ অন্য রাজ্য থেকে এসে মানুষের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। অথরাইজড লোক ছাড়া কোনও তথ্য দেওয়া যাবে না।” —বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।  “জঙ্গিরা যেন এই এলাকায় আশ্রয় নিতে না পারে, তার জন্য পুলিশকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে,"বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রাতের কলকাতার আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন, আতঙ্কে সিঁটিয়ে তিলোত্তমার বাসিন্দার, চলছে গোপন নজরদারি?

সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।  উত্তেজক ও ভুয়ো রোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।” পাশাপাশি ভোটার তালিকায় যাতে ভুয়ো নাম কোন ভাবেই না ঢোকে সেবিষয়েও কঠোর বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।  

mamata