central advisory on singara and jalebi: সিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে ‘সতর্কীকরণ’? কেন্দ্রকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল
বাঙালির রসনা তৃপ্তিতে থাবা বসাতে চলেছে মোদী সরকার? সিঙাড়া-জিলিপি নিয়ে ‘সতর্কীকরণ’ বিতর্কের মাঝেই 'বিস্ফোরক' মমতা বন্দোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো X-এ একটি পোস্টে বলেছেন, "মিডিয়ায় কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশের ভিত্তিতে, এখন থেকে সিঙ্গারা-জিলিপি খাওয়া যাবে না। এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জারি করা কোনও বিজ্ঞপ্তি নয়। আমরা এই বিষয়ে কোনরকম হস্তক্ষেপ করছি না। আমরা এটি বাস্তবায়ন করব না। আমার মনে হয় অন্যান্য রাজ্যেও সিঙ্গারা ও জিলিপি জনপ্রিয়। ওই রাজ্যের মানুষও এই খাবারগুলি পছন্দ করে। আমাদের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।" তিনি আরও লিখেছেন, " সিঙাড়া-জিলিপিতে স্টিকার লাগিয়ে খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। এটি জনগণের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। বাংলায় যার যা খুশি খাওয়ার পূর্ণ অধিকার থাকবে।”
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কেন্দ্রের এই পরামর্শকে 'ফতোয়া' বলে অভিহিত করেছেন এবং ঘোষণা করেছেন যে রাজ্য এই ধরণের কোন ফরমান বাস্তবায়িত হবে না'। তিনি বলেন, "কেন্দ্রের নজর সিঙ্গারা এবং জিলিপির উপর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ফতোয়া কার্যকর করা হবে না।" তিনি বলেন, এই খাবারগুলি উপভোগ করার পূর্ণ স্বাধীনতা মানুষের আছে, যদি এর মান বজায় থাকে। কুনাল ঘোষ বলেন, "কে কী খাবে এবং কীভাবে খাবে; বাংলায় এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না।"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছিল যে, সিঙ্গারা ও জিলিপির মতো খাবারেও হয়তো ভবিষ্যতে 'সতর্কীকরণ' লেবেল বসানো হতে পারে, যেমনটি সিগারেটের প্যাকেটে দেখা যায়। তবে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) এই দাবিকে সরাসরি খারিজ করে বলেছে, “এ ধরনের কোনও পরামর্শ স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেয়নি এবং ভারতীয় স্ট্রিট ফুড বা স্ন্যাকসকে কেন্দ্র করে এই ধরণের কোন নির্দেশিকা জারি করার কোন দৃষ্টিভঙ্গিও নেই সরকারের ।”
সরকার জানিয়েছে, ওই 'অ্যাডভাইজরি' শুধুমাত্র একটি সাধারণ পরামর্শ, যেখানে কর্মস্থলে 'স্বাস্থ্যকর' খাবার বাছাই এবং অতিরিক্ত তেল ও চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করে সুস্থ জীবনধারা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট খাবারকে লক্ষ্য করে নয়, বরং সমস্ত ফাস্ট ফুড বা অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগে এই পরামর্শ। সরকার বলেছে, “এই অ্যাডভাইজরি ভারতের সমৃদ্ধ স্ট্রিট ফুড সংস্কৃতিকে টার্গেট করছে না। এটি শুধুই একটি বা সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াস।”