/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/24/mamata-vs-modi-kolkata-metro-projects-2025-08-24-11-26-45.jpg)
'কেন এত বছরেও সম্ভব হয়নি', মোদীর হাতে তিন মেট্রো রুটের উদ্বোধনের পরই গর্জে উঠলেন দিলীপ
Dilip Ghosh On Kolkata Metro: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় একাধিক মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনের পরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, রেলমন্ত্রী থাকার সময় কিংবা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বে থেকেও শহরের যানজট সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, দিল্লিতে মেট্রো চালু হওয়ার পর থেকে রাজধানীতে যানজট অনেকটা কমেছে। অথচ কলকাতায় ৪০-৫০ বছর আগে মেট্রো পরিষেবা শুরু হলেও আজও তা পরিপূর্ণ আকার নেয়নি। তাঁর কথায়, “দিল্লি মেট্রো অনেক পরে শুরু হলেও আজ রাজধানীর সর্বত্র নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু কলকাতায় এত বছরেও তা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন মুখ্যমন্ত্রী, তার আগে রেলমন্ত্রী ছিলেন, তবুও সমস্যা সমাধান হয়নি। শুধু কৃতিত্ব নেবেন, কাজ করবেন না—এটা মানুষ ভালোভাবেই জানে।”
আরও পড়ুন- RG Kar কাণ্ডে দাপুটে তৃণমূল নেতার বাড়িতে CBI তল্লাশি,'কেন এখনও জেলের বাইরে' প্রশ্ন শুভেন্দুর
শুক্রবার কলকাতায় তিনটি নতুন মেট্রো রেল রুটের উদ্বোধনের এক ঘন্টা আগে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে তিনি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই করিডোরগুলির পরিকল্পনা এবং অনুমোদন করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছুটা 'নস্টালজিক ভঙ্গিতে' নিজের অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, রেলমন্ত্রী থাকার সময় থেকে কলকাতার মেট্রো সম্প্রসারণের ব্লুপ্রিন্ট তৈরিতে তিনি উদ্যোগী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই প্রকল্পগুলিই বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, "আজ আমাকে একটু স্মৃতিচারণ করতে দিন। ভারতের রেলমন্ত্রী হিসেবে, আমি মেট্রোপলিটন কলকাতায় মেট্রো রেলওয়ে করিডোরের পরিকল্পনা এবং অনুমোদনের সুযোগ পেয়েছিলাম। আমি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছি, তহবিলের ব্যবস্থা করেছি, সব কিছুই করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। টালিগঞ্জ–গড়িয়া, দমদম–গড়িয়া, দক্ষিণেশ্বর–দমদম, সল্টলেক–হাওড়া – এই সব সংযোগেরই সূচনা আমার হাত দিয়ে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলপথের রুটও বাস্তবসম্মতভাবে পরিবর্তন করে তার রূপায়ণের পথ আমি প্রশস্ত করি। এই সব কাজের জন্য মেট্রো রেলওয়ের একটি পৃথক জোনও আমি কলকাতায় করি। সারা ভারতে ২০টি জোন ছিল, এটি অধিকন্তু নূতন হয়। ওয়ার্ল্ড ক্লাস স্টেশন তৈরীর ঘোষণাও ছিল আমার।”
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিজেপিকে তোপ দেগে অভিযোগ করা হয়েছে, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করতে এসেছেন। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক্স-এ মমতার রেলমন্ত্রী থাকার সময়ের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী আজ যা উদ্বোধন করবেন, তা আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্পনা, অনুমোদন এবং আর্থিক বরাদ্দের ফল। এতদিন বিলম্বের পর এখন নির্বাচনের আগে প্রচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী আসছেন।
আরও পড়ুন-মেট্রো উদ্বোধনের কৃতিত্ব নিয়ে জোর দড়ি টানাটানি! শাসক নেতার ব্যানার ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, নোয়াপাড়া–জয়হিন্দ বিমানবন্দর এবং শিয়ালদহ–এসপ্ল্যানেড মেট্রো চালু হলে শহরের যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। এতে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী উপকৃত হবেন, যাতায়াতের সময় কমবে এবং কলকাতার বহুমুখী পরিবহণ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।