Abhishek Banerjee On Teacher Protest: আগামী ২১ মে চাকরিহারা আন্দোলনরত শিক্ষকদের থানায় হাজিরার নির্দেশ। বিধান নগর উত্তর থানায় হাজিরার নির্দেশ দিয়ে ইতিমধ্যে ১৫ জনকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। গত বৃহস্পতিবার আক্রান্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিপ্তেই মোট ১৫ জন শিক্ষককে নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিস না মানলে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাংচুর, সরকারি কর্মীদের কাজে বাঁধাদান সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে। এপ্রসঙ্গে চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, "পুলিশের মারে রক্তাক্ত শিক্ষকরা, তাও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের। ভয় দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। এমন ভাবে বিষয়টা তুলে ধরা হয়েছে যেন আমরা ড্রোন ছুঁড়ে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছি। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যে নোটিস পেয়েছেন। যারা নোটিস পেয়েছেন তাদের সকলের পাশেই সকল আন্দোলনকারীরা রয়েছেন"।
এদিকে আজ আন্দোলনরত চকরিহারা শিক্ষকদের বিরাট বার্তা দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। আজ দিল্লি রওনা হওয়ার আগে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, "গণতান্ত্রিক দেশে, প্রতিবাদ করার অধিকারি সবার আছে। আমি কোনভাবে তাদের আন্দোলনকে ছোট করব না। এই আন্দোলনকে কোন রাজনৈতিক রঙ দেব না। তবে আন্দোলন কখনও হিংসাত্মক হয় না। গান্ধীজি অহিংসার কথা বলেছিলেন। আমরাও অহিংসার পথে চলেছি। কোনও ভাবে আন্দোলন যেন হিংসাত্মক না হয়। তা হলে আন্দোলনের সাড়মর্ম হারিয়ে যায়। সরকার সরকারের দিক থেকে পরিষ্কার। ইতিমধ্যে আদালতে রিভিউ পিটিশন দায়ের করেছে। আমি বলব ধৈর্য্য ধরে কিছুটা সময় অপেক্ষা করুন। সরকারের উপর ভরসা রাখুন"।
চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে লাগাতার বিকাশ ভবনের সামনে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়তে থাকে। বিকাশ ভবনের গেট ভেঙে ফেলে জোর করে ভিতরে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীদের হটাতে লাঠিচার্জ করা হয়। পুলিশের মারে গুরুতর জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষক। অভিযোগ, শিক্ষকদের লাথি, ঘুষি এমনকী জুতো দিয়েও মারা হয়। সকাল থেকে অবস্থানে বসা শিক্ষকদের হটাতে রাত আটটা নাগাদ সাইরেন বাজিয়ে অ্যাকশন শুরু করে পুলিশ।
একদিকে হকের চাকরি যাওয়ার যন্ত্রনা। অপরদিকে পুলিশের লাঠির আঘাত। কান্নায় ভেঙে পড়েন চাকরিহারা শিক্ষকরা। বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্বতঃ প্রণোদিত মামলাও রুজু করা হয়। চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং সরকারি কর্মীদের হেনস্থা সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। তার প্রেক্ষিপ্তেই এদিন ১৫ জনকে নোটিস পাঠিয়ে আগামী ২১ তারিখ বিধাননগর উত্তর থানায় সকাল ১১ টায় হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।