/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/13/t22aE5RQjgdBjQfbT1Bk.jpg)
Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রো
Metromen qualified for world bridge championships: নজির গড়লেন কলকাতা মেট্রোরেলের দুই কর্মী সুমিত মুখার্জি ও সাগ্নিক রায়। ২০২৫ সালের আগস্টে ডেনমার্কে অনুষ্ঠিত ৪৭তম বিশ্ব ব্রিজ টিম চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাঁরা।
ভারতীয় ওপেন টিমের এই দুই সদস্য দুবাইতে বাংলাদেশকে হারিয়ে ব্রিজ ফেডারেশন অফ এশিয়া অ্যান্ড দ্য মিডল ইস্ট (BFAME) চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতেছেন এবং বিশ্ব ব্রিজ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
এই টুর্নামেন্টটি ১০ থেকে ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সুমিত মুখার্জি এবং সাগ্নিক রায় ভারতীয় ওপেন টিমের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী পি উদয় কুমার রেড্ডি এই অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য দুই মেট্রোরেলের কর্মীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-West Bengal News Live: চাল-কাঁকর আলাদা হবে আজই? বিকেলেই যোগ্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারে SSC
কলকাতা মেট্রোরেলের গর্ব, সুমিত মুখার্জী ও সাগ্নিক রায়। সম্প্রতি জাতীয় স্তরের ব্রিজ চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। পেশায় এঁরা কলকাতা মেট্রোরেলের নিষ্ঠাবান কর্মী হলেও, দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজ খেলার সঙ্গে তিনি নিবিড়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। এর আগেও নানাস্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন এঁরা। এসেছে সাফল্যও। এবার একেবারে আন্তর্জাতিকস্তরের একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বাজিমাতের দোরগোড়ায় দুই মেট্রোকর্মী সুমিত মুখার্জি ও সাগ্নিক রায়।
চ্যাম্পিয়নশিপটি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত অভিজ্ঞ ও প্রতিভাবান ব্রিজ খেলোয়াড়দের নিয়ে আয়োজিত হয়। সুমিত মুখার্জী তাঁর দক্ষতা, ধৈর্য ও কৌশলী খেলার মাধ্যমে বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
ব্রিজ একটি মানসিক ক্রীড়া যেখানে খেলোয়াড়দের স্মরণশক্তি, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং কৌশলগত চিন্তাভাবনার সমন্বয় প্রয়োজন হয়। সুমিতের মতে, “মেট্রোর মতো একটি দায়িত্বপূর্ণ কর্মক্ষেত্রে কাজ করার পাশাপাশি ব্রিজ খেলা আমার মানসিক চর্চা বজায় রাখে এবং নতুন কিছু শেখার সুযোগ দেয়।”
সুমিত ও সাগ্নিকের এই অর্জনে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষও গর্বিত। তাঁর সহকর্মীরা ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের কামনা করেছেন।এই অংশগ্রহণ শুধু তাঁর ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং মেট্রো রেলের সম্মান ও কর্মীদের বহুমাত্রিক প্রতিভার একটি দৃষ্টান্তও বটে।