Migrant workers tortured:বাংলায় কথা বলতেই বেধড়ক মার পুলিশের, হাড়হিম অভিজ্ঞতা শোনালেন বাবা-ছেলে

Migrant labourer abuse: ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে অবর্ণনীয় অত্যাচারের শিকার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক। প্রাণভয়ে কোনওমতে পরিবার নিয়ে পালিয়ে আসেন তাঁরা।

Migrant labourer abuse: ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে অবর্ণনীয় অত্যাচারের শিকার বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক। প্রাণভয়ে কোনওমতে পরিবার নিয়ে পালিয়ে আসেন তাঁরা।

author-image
Utsab Mondal
New Update
Haryana police brutality  ,Father-son from North 24 Parganas  ,Migrant workers assaulted,  Police torture in Haryana,  Bengali workers in Haryana,  North 24 Parganas residents assaulted,  Migrant labourer abuse,  Human rights violation Haryana  ,Police excess on workers  ,West Bengal migrants tortured,  Bengali family attacked  ,Police misconduct in Haryana,  Labour exploitation issue,  Bengali migrants Haryana issue,  Haryana police controversy,হরিয়ানা পুলিশি নির্যাতন  ,উত্তর ২৪ পরগনা,  বাবা-ছেলে নিগ্রহ  ,কাজে গিয়ে হেনস্থা  ,পুলিশি অত্যাচার  ,পরিযায়ী শ্রমিক নিগ্রহ  ,বাংলা হরিয়ানা সংঘাত  ,পুলিশের নির্যাতনে আহত  ,বাঙালি শ্রমিক নিগৃহীত,  হরিয়ানায় বাংলার শ্রমিক  ,মানবাধিকার লঙ্ঘন  ,হরিয়ানায় বাংলার বাসিন্দা,  পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা,  হরিয়ানা পুলিশ বিতর্ক,  বাংলা থেকে হরিয়ানা শ্রমিক

Migrant labourer abuse: বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের কাছে গিয়েছিলেন নিগৃহীত বাবা ও ছেলে।

Bengali family attacked:হরিয়ানার গুরগাঁওতে কাজে গিয়ে পুলিশি অত্যাচারের শিকার উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের দুই ব্যক্তি। সম্পর্কে তাঁরা বাবা ও ছেলে। পুলিশের বেধড়ক মারে গায়ে রীতিমতো কালশিটে দাগ পড়ে গিয়েছে দু'জনের। কার্যত প্রাণভয়ে হরিয়ানা থেকে পালিয়ে গোপালনগরে ফিরেছে গোটা পরিবার। তবে তাঁদের চোখে মুখে এখনও রয়ে গিয়েছে আতঙ্কের ছাপ। 

Advertisment

জানা গিয়েছে, হরিয়ানার গুরগাঁওতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন বনগাঁ গোপালনগর থানা এলাকার দিঘারী গ্রাম পঞ্চায়েতের কনকপুরের বাসিন্দা সাধন দাস ও তাঁর ছেলে সৌভিক দাস। গোপালনগরের কনকপুরের বাসিন্দা তাঁরা। বাংলায় কথা বলায় বাংলাদেশী তকমা দিয়ে সাধন দাসকে পুলিশ বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় কালশিটে দাগ পড়ে গিয়েছে। 

পরে পরিবার নিয়ে কোনও মতে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের বাড়িতে ফিরে আসেন তাঁরা। জুলাই মাসের ২৭ তারিখ গুরগাঁওয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন সাধন দাস। সেই সময় রাস্তায় হরিয়ানা পুলিশ তাঁদের পথ আটকায়। বাংলায় কথা বলতেই মারধর করে সেখানকার পুলিশ। সাধন দাস বলেন, "বাংলায় কথা বলতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে। স্টিলের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারে। দ্রুত এলাকা ছাড়তে বলে। কোনও প্রকারে ছেলে-বৌমাকে নিয়ে পালিয়ে এসেছি।" 

Advertisment

আরও পড়ুন- Nabanna Abhijan:আরজি কর কাণ্ড: 'ন্যায়' চেয়ে ফের নবান্ন অভিযান, স্তব্ধ হবে কলকাতা-হাওড়া?

সৌভিক দাস বলেন, "আমাকে তিনদিন ধরতে এসেছিল। স্ত্রীকে ঘরে তালাবন্দি রেখে চলে যায়। তিন দিন পালিয়ে বেরিয়েছি। মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে পুলিশ। দু'দিন পর সেখানে সবকিছু ফেলে রেখে পালিয়ে আসি। আর হরিয়ানাতে আমরা কাজে যেতে চাই না।" 

আরও পড়ুন- West Bengal news Live Updates: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা, তৃতীয় নোটিশে ED-র দফতরে রাজ্যের মন্ত্রী

বৃহস্পতিবার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের কাছে গিয়েছিলেন নিগৃহীত বাবা ও ছেলে। বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছেন তাঁরা। এই বিষয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "ভিন রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা করছে সেখানকার পুলিশ। যে বাঙালি দেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিল, তাঁদেরকেই হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। আগামী দিনেও এর প্রতিবাদ হবে।"

আরও পড়ুন-One year of RG Kar incident:আরজি কর কাণ্ডের এক বছর: 'ন্যায়বিচার'-এর পথ চেয়ে পরিবার

Migrant labour Bengali News Today Haryana Police