Nabanna march:আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গতবছর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। ধুন্ধুমার ঘটনা ঘটেছিল সেই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে রীতিমতো খন্ডযুদ্ধ বেধেছিল। এবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে অভয়ার বাব-মা। আরজি কর কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে আগামী ৯ অগাস্ট, শনিবার। তবে এবারও এই আন্দোলনের পুরোভাগে থাকতে চলছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ।
গতবছর ২৭ অগাস্ট আরজি কর কাণ্ডের বিচার চাইতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। এই নয়া সংগঠনের নবান্ন অভিযানে তোলপাড় হয়েছিল কলকাতা-হাওড়া। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি ছিল, ওই অভিযানের পিছনে ছিল গেরুয়া শিবির। মদত ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অভিকারীর। এবারও সরাসরি নবান্ন অভিযানকে সমর্থন করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পুলিশও আন্দোলন মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশের বড় কর্তারা রাস্তা পরিদর্শন করে অভিযান রোধের পরিকল্পনা করে ফেলেছেন।
এদিকে নবান্ন অভিযানের প্রস্তুতি চলছে রাজ্যজুড়ে। গতবার হঠাৎ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হলেও এবার অনেক আগেই অভয়ার বাবা-মা নবান্ন চলোর ডাক দিয়েছেন। তৃণমূল ব্যতিরেকে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়েছেন ওই আন্দোলনে অংশ নিতে। বিভিন্ন থানা থকে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের বেশ কয়েকজনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- West Bengal news Live Updates: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা, তৃতীয় নোটিশে ED-র দফতরে রাজ্যের মন্ত্রী
গতবারের আন্দোলনের অন্যতম মুখ সায়ন লাহিড়ীও নোটিশ পয়েছেন। গতবার তার মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সায়ন লাহিড়ী বলেন, "ইতিমধ্যে আমাদের বেশ কয়েকজনকে পুলিশ নোটিশ পাঠিয়েছে। অভয়াদির বাবা-মায়ের পিছনে রয়েছে ছাত্র সমাজ। নবান্ন অভিযানে এবারও স্তব্ধ হবে কলকাতা ও হাওড়া। ডোরিনা ক্রশিং ও সাতরাগাছি থেকে মিছিল আসবে।।"
আরও পড়ুন-Abhishek Banerjee:'এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ কমিশনের', রাজ্যের অফিসারদের সাসপেন্ড ইস্যুতে বিস্ফোরক অভিযোগ অভিষেকের
গত বছর নবান্ন অভিযান ছত্রভঙ্গ করতে একদিকে জলকামান, অন্যদিকে অগুন্তি কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছিল পুলিশ। পুলিশ-আন্দোলনকারীদের খন্ডযুদ্ধে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা।
আরও পড়ুন-Curse of the sea: ঘোড়ামারা: যে দ্বীপের মৃত্যু ঘণ্টা বাজছে প্রতিদিন, একটু একটু করে গিলে খাচ্ছে নদী!
সায়ন লাহিড়ী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "এবার অভয়াদিদির বাবা-মায়ের ডাকে নবান্ন অভিযান হচ্ছে। এই আন্দোলন শুধু ছাত্র সমাজ নয়, বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দল বা নেতার নয়। রাখীবন্ধনের অঙ্গীকার নিয়ে অভয়াদির বিচারের জন্য পা মেলাতে আহ্বান জানানো হচ্ছে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে। ওই দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হবে। অভয়াদির বাবা-মা যেভাবে আন্দোলন পরিচালনা করবে সেভাবে হবে। যদি প্রশাসন আগের বছরের মতো মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে বিনাপ্ররোচনায় অভয়াদির বাবা-মায়ের ওপর জলকামান বা লাঠি পড়ে, তাহলে তার পরের দায়িত্ব সম্পূর্ণ পুলিশ প্রশাসনের থাকবে। সুষ্ঠুভাবে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন বজায় রাখার দায়িত্ব পুলিশের। আন্দোলনকারীরাও শান্তি চাইছে।"