Modi Trump Conversation: ইরান-ইজরায়েল সংঘাত আবহে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে চলা এই দীর্ঘ কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী মোদী অপারেশন সিন্দুর এবং সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট মতামত তুলে ধরেন। কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে সরাসরি আলোচনার পরে 'অপারেশন সিন্দুর' বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। অপারেশন কোনও আমেরিকান মধ্যস্থতা ছিল না। সূত্রের খবর, এই সময় মোদীকে আমেরিকা আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে মোদী সেই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন। এই সময় মোদী ট্রাম্পকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যে অপারেশন সিন্দুর অব্যাহত রয়েছে।
জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের কথা থাকলেও ট্রাম্পকে বিশেষ কারণে আমেরিকা ফিরে যেতে হয়। যার কারণে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকটি হয়নি। এরপরই ট্রাম্প উদ্যোগ নেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে ফোনে কথা বলেন। এই কথোপকথনের সময়, উভয়েই অপারেশন সিন্দুর থেকে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পর্যন্ত সবকিছু নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত অবসানে কোন মার্কিন মধ্যস্থতা ছিল না। বাণিজ্য নিয়েও কোনও আলোচনা হয়নি।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে সরাসরি আলোচনার পর 'অপারেশন সিন্দুর' বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
কানাডা থেকে ফেরার সময় ট্রাম্পের আমেরিকা সফরের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ট্রাম্পকে কোয়াড বৈঠকে যোগদানের জন্য ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান, যা মার্কিন রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেন।
ইসরায়েল ও ইরান যুদ্ধ নিয়ে দুজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্র নায়কের মধ্যে ।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মোদীর সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানকে সমর্থন করে বলেন, সন্ত্রাস ইস্যুতে আমেরিকা ভারতের পাশে আছে। মোদী বলেন, “ভারত আর সন্ত্রাসবাদী হামলাকে প্রক্সি হিসেবে দেখবে না, এটি সরাসরি যুদ্ধ হিসেবেই তা বিবেচিত হবে।”
অপারেশন সিন্দুর এখনও চলছে
পাকিস্তানের অনুরোধেই যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, সেখানে কোনো মার্কিন মধ্যস্থতা ছিল না
ভারত কখনোই কোনো আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা মেনে নেয়নি, নেবে না
ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়েও আলোচনার প্রশ্ন ওঠেনি।