Municipality Chairman Tuhinkanti Bera agrees to give his house to implement Ghatal Mastar plan:ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের (Ghatal Master Plan) দাবি দীর্ঘদিনের। রাজ্যের অভিযোগ, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রূপায়ণে কেন্দ্র সহযোগিতা করছে না। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়নের তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্য সরকারই। ঘাটালে জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটা শুরু হতেই এবার বিরাট সিদ্ধান্তের কথা জানালেন ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বেরা।
বৃহত্তর স্বার্থে ঘাটালবাসীকে এগিয়ে আসার আবেদন জানানো হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। কারণ, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। প্রশাসনিক কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রয়োজনীয়তা বোঝাচ্ছেন, সেই সঙ্গে জমি অধিগ্রহণের ব্যাপারেও কথা-বার্তা চালাচ্ছেন। জানা গিয়েছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য শহরে শতাধিক দোকান ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি বাড়ির পাশাপাশি ভাঙা পড়তে পারে খোদ পুরসভার চেয়ারম্যানের একমাত্র বাড়িটিও।
এ খবর জেনে পুরপ্রধান তুহিনকান্তি বেরা বিচলিত নন। বরং তিনি জানিয়েছেন, সত্যিই যদি তাঁর বাড়িটি ভাঙার প্রয়োজন পড়ে তবে তাতেও তিনি রাজি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজে থেকে এ ব্যাপারে উদাহরণ তৈরি করতে না পারলে অপরকে কীভাবে বোঝাবেন? উল্লেখ্য, ঘাটাল শহরের একেবারে মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে বয়ে চলেছে শিলাবতী নদী।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: তৃণমূলকর্মীকে গুলি করে খুন, রাতভর পার্টি অফিসের সামনেই পড়ে রইল দেহ
এই নদীর দুই দিকে ৬০ ফুট করে জমি নেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। এই ৬০ ফুট এলাকায় সরকারি জমির পাশাপাশি রায়ত জমি রয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের জন্য কিছু রায়ত জমি কিনবে সরকার। এক্ষেত্রে বহু বাড়ি ও দোকান ভাঙা পড়বে। জমির মাপ-যোগ করতে গিয়ে সেই তালিকায় এসে যায় পুরপ্রধান তুহিনকান্তি বেরার বাড়ি। তবে এ ব্যাপারে পুরপ্রধান নিজে জানিয়েছেন, ফি বছর ঘাটালকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনি তাঁর বাড়ি দিতেও প্রস্তুত রয়েছেন।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: 'পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা, ওপার দেখে এপারেও ভয়', রামনবমীর আবহে সোচ্চার দিলীপ