New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/19/sacM3MZdheAUkZfDbn4k.jpg)
প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।
মাফলার দিয়ে বাধা দু'পা। দুই হাত বাধা দড়ি দিয়ে। প্যান্ট দিয়ে আষ্ঠেপৃষ্টে গলায় বাঁধা ছিল ফাঁস। এমন এবস্থায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নবগ্রাম রেল স্টেশন সংলগ্ন শ্মশানের পাশ থেকে উদ্ধার হয় এক জুয়াড়ির অর্ধনগ্ন রক্তাক্ত মৃতদেহ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই বুধবার নবগ্রাম এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (SDPO) অভিষেক মণ্ডল বলেছেন, “মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃতর হাত ও পা বাঁধা ছিল। প্যান্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ছিল। দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হবে।"
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী নিহত ব্যক্তির নাম ওহাব আনসারি। জামালপুর থানার অন্তর্গত মসাগ্রাম স্টেশন বাজার সংলগ্ন মাঠ পাড়ায় এই ব্যক্তির বাড়ি হলেও তিনি সেখানে থাকতেন না। নিহতের আত্মীয় মহম্মদ মুস্তাক ও শেখ নবাব জানিয়েছেন, ওহাব আনসারি বিবাহিত। তাঁর ছেলে ও মেয়ে সাবালক। ছেলে চেন্নাইয়ে কাজ করে। সেখানেই ছেলের কাছে ওহাবের স্ত্রী ও মেয়ে থাকে। শেখ নবাব বলেন, “আগে মসাগ্রাম স্টেশন বাজারে সবজির ব্যবসা করতো ওহাব। তবে সে জুয়ো খেলা ও মদের নেশায় খুব বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছিল। যেখানে জুয়ো খেলা হত সেখানেই জুয়া খেলতে চলে যেত। ওহাব মাস পাঁচেক আগে মসাগ্রামে সবজি ব্যবসা লাটে তুলে দেয়। মসাগ্রামনের বাড়িতেও আর থাকতো না। ইদানিং শক্তিগড় এলাকার কোনও জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে ওহাব থাকছিল।"
আরও পড়ুন- Hooghly News: বচসার জেরে সহপাঠীর বুকে সজোরে ঘুষি! বেঘোরে প্রাণ খোয়াল দশম শ্রেণির ছাত্র
তাঁরা জানিয়েছেন, ওহাব আনসারি খুন হয়েছে খবর পেয়ে তাঁরা বুধবার বেলায় নবগ্রামে ছুটে যান। ঘটনাস্থলে পৌছে তাঁরা বীভৎস অবস্থায় ওহাবের দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। কেমন অবস্থায় ওহাবের মৃতদেহ পড়েছিল? এর উত্তরে মুস্তাক ও নবাব বলেন,“নবগ্রাম রেল স্টেশন থেকে আনুমানিক ১০০ মিটার দূরে রয়েছে একটি শ্মশান। সেই শ্মশানের কাছে ফাঁকা জায়গায় ওল্টানো অবস্থায় ওহাবের মৃতদেহ পড়েছিল। তার দুটো পা মাফলার দিয়ে বাধা ছিল । পিঠ ও বুকের সঙ্গে জড়িয়ে দু হাত দড়ি দিয়ে বাধা ছিল। ওহাবের পরণে থাকা প্যান্টটা ওহাবের গলায় ফাঁস দিয়ে জড়ানো ছিল। তাই তার দেহ ছিল অর্ধনগ্ন। এছাড়াও ওহাবের নাকে, মুখে এবং পায়ের হাঁটের পিছনের অংশে আঘাতের চিহ্ন ও রক্তের দাগও তাঁরা দেখতে পেয়েছেন। তাঁরা আরও বলেন, “মনে হয় মঙ্গলবার রাতে নবগ্রাম এলাকায় জুয়ো খেলতে গিয়ে ওহাব মোটা টাকা পেয়েছিল। সেই টাকা কেড়ে নিতেই দুস্কৃতীরা নৃশংসভাবে ওহাবকে খুন করে থাকতে পারে।"