Murshidabad Apple Farming: নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদের আমের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। আমের ভ্যারাইটি এবং স্বাদ-গন্ধ দেশ বিদেশের আম রসিকদের বিস্মিত করে। আমের পীঠস্থানে গত তিন বছর ধরে আপেল ফলাচ্ছেন বেলডাঙ্গার কাছাড়িপাড়ার রুপেশ দাস।
রুপেশ দাসের বাগানের আপেলের স্বাদ, বর্ণ এবং গুণমানে শীতপ্রধান দেশের আপেলকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। রুপেশের দাবি, তার বাগানের আপেল যেমন রসালো, তেমনি সুস্বাদু। মুর্শিদাবাদের মতো গ্রীষ্মপ্রধান এলাকায় আপেল ফলানোর খবরে বিস্মিত জেলাবাসী। অনেকেই আপেল দেখতে রুপেশ দাসের কাছাড়িপাড়ার বাগানে ঢুঁ মারছেন।
বেলডাঙ্গার কাছাড়িপাড়ার বাগানে হরিমন ৯৯, এনা ও ডরসেট গ্লোডেন এই তিন প্রজাতির আপেল গাছ রয়েছে। হরিমন ৯৯ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। এনা ইজেরাইলি এবং ডরসেট গ্লোডেন বাহামী প্রযুক্তির। তবে গাছের গোড়ায় জল জমা চলবে না। সেদিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।
রুপেশ জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের মাটিতে আপেল ফলানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে পাঁচ বছর আগে অনলাইনে হিমাচল প্রদেশ থেকে তিন প্রজাতির আপেল গাছের চারা এনে রোপণ করি। তারপর থেকে নিয়ম করে একবছর যাবত পরিচর্চা করি। দু বছরের পর থেকে আপেলের ফলন শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, সঠিক পরিচর্চা পেলে এই তিন প্রজাতির আপেল ভালো ফলন দেয়। এখানকার আবহাওয়ায় আপেলর তিনটি ভ্যারাইটি খাপ খাইয়ে নিয়েছে। ফলে তীব্র গরমে ৪০-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সতেজ রয়েছে।
গরম আবহাওয়ায় কিভাবে আপেল ফলন পাওয়া সম্ভব এই বিষয়ে রুপেশবাবু বলেন, ভালো ফলন পেতে প্রুনিং ও চিলিং পিরিয়ড এই দুটি বিষয় জরুরি। ফুল আসার জন্য চিলিং পিরিয়ড প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ৫০-১০০ ঘন্টা তাপমাত্রা ৭-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে হয়। অন্যদিকে প্রুনিং বা গাছের ডাল ছেঁটে ফেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উন্নত গুণমানের ফলন পাওয়ার ক্ষেত্রে ওই দুটি জরুরী। যেহেতু চারা লাগানোর দুই বছর পর থেকে ফলন শুরু হয় তাই ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস চিলিং পিরিয়ড হিসেব করেই নভেম্বর মাসের শেষ থেকে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়।