/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/16/ppqDhAnCYZEpH3DqGpTb.jpg)
প্রতীকী ছবি।
গতবার CBI গ্রেফতার করার সময়েও যা করেছিলেন এবার বাড়িতে ED হানা দিতেও সেই একই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি। গতবারও যেমন শেষ রক্ষা হয়নি এবারও তেমন হল না। সোমবার সাতসকালে বাড়ি থেকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল ইডি।
SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এর আগে CBI তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। এবার পালা ইডির। সোমবার সাতসকালে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতির মামলার তদন্তে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়ার একাধিক জায়গায় হানা দেন ইডি-র আধিকারিকরা। কাকভোরে এদিন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি।
একযোগে এদিন তল্লাশি চলেছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও। তিনি সম্পর্কে জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি। এদিন ইডির অন্য একটি দল গিয়েছিল জীবনকৃষ্ণ সাহার শ্বশুরবাড়িতেও। সেখানেও চলে তল্লাশি।
আরও পড়ুন- Joy Banerjee: প্রয়াত BJP-র তারকা নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে ইডি ঢুকতেই পেছনের পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। শুধু তাই নয় তাঁর কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোনও পুকুরের দিকে ছুড়ে দেন তিনি। তবে দুটোর কোনওটাতেই তিনি সফল হননি। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি।
পাঁচিল টপকে পালানোর আগেই তাকে ধরে ফেলেন জওয়ানরা। সেই সঙ্গে পুকুরের দিকে ছুঁড়ে ফেলা দুটি মোবাইল ফোনও ইডির আধিকারিকরা পরে উদ্ধার করেন। সেগুলি পুকুরের জলে পড়েনি। পুকুরের পাড়ে গিয়ে পড়েছিল তাঁর দুটি ফোন।
এরপর জীবনকৃষ্ণ সাহাকে তার বাড়িতে বসিয়ে রেখেই টানা জেরা চালিয়ে যান ইডির আধিকারিকরা। তার মোবাইল ফোনের পাসওয়ার্ড চান ইডির আধিকারিকরা। শুরুতে তা দিতে রাজি হননি জীবনকৃষ্ণ সাহা। পরে জোরাজুরিতে কোনও ভাবে সেই ফোনের লক খুলে মোবাইল ফোন ঘাঁটতে শুরু করে দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, এতেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়ে যায় ইডি। এরপরেই জীবনকৃষ্ণ সহাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর আগে ২০২৩ সালে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় CBI তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করেছিল। বেশ কিছুদিন টানা জেলে ছিলেন তৃণমূলের এই বিধায়ক। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। এবার ইডির জালে দাপুটে বিধায়ক।