পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে এবার রক্ত ঝরল মুর্শিদবাদে। গতকাল রাতে মুর্শিদাবাদের রানিনগরে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার মৃত্যু হাসপাতালে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায একজনকেও গ্রেফতার করেত পারেনি পুলিশ। গোটা এলাকায থমথমে পরিবেশ।
পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগোচ্ছে রাজ্যের জেলায়-জেলায় রাজনৈতিক হিংসা, গন্ডগোল বেড়েই চলেছে। এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ। মঙ্গলবারই রানিনগরের লোচনপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নতুন প্রধান নির্বাচন হয়। ভোটাভুটিতে প্রধান হিসেবে জয়ী হন তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক আলতাব আলির ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। যা নিয়েই ছড়ায় অসন্তোষ।
আরও পড়ুন- ক্লান্ত ‘দিদির দূত’ অসিত মজুমদার, পঞ্চায়েত সদস্যাকে দিয়ে পা টেপানোর ছবি ভাইরাল
মঙ্গলবার সন্ধেয় ভোটাভুটি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল নেতা আফতাব আলি। ঠিক তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে তৃণমূল নেতার শারীরিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়ে।
শেষমেশ বুধবার ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সন্ধেয় তৃণমূল নেতার উপর আক্রমণ হলেও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। যা নিয়ে নিহতের পরিবার যারপরনাই ক্ষুব্ধ।
আরও পড়ুন- ‘উনি ধুমকেতু, দেখাই যায় না’, ‘দিদির দূত’ দেখেই তাড়া বাসিন্দাদের! দেখুন ভিডিও
পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগোচ্ছে বাংলার গ্রামে-গ্রামে রাজনৈতিক হিংসা, মারামারি ততই বাড়ছে। গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, বোমা-বন্দুক উদ্ধারের খবর মিলছে। প্রশাসনের শীর্ষ মহলের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারে জোরদার তৎপরতা নিচ্ছে পুলিশ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বোম-বন্দুক উদ্ধারের পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।