2 arrested to link Jafrabad father and son murder case from odisha : মুর্শিদাবাদের হিংসার (Murshidabad Violence) ঘটনায় আরও ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে জাফরাবাদের বাবা ও ছেলে জোড়া খুনের ঘটনায় দুই অভিযুক্তও রয়েছে। বাবা ও ছেলের খুনের ঘটনায় আগেই জিয়াউল হক-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের জেরা করে পুলিশ জিয়াউলের দুই ছেলের খোঁজ পায়। তারা কোথায় গা ঢাকা দিয়েছে তা জানতে পেরে ওড়িশায় হানা দেয় STF-এর একটি দল। সেখান থেকে জিয়াউলের দুই ছেলেকেও পুলিশ গ্রেফতার করে।
সামসেরগঞ্জ থানায় দফায়-দফায় জেরা করা হয় ধৃতদের। ঘটনার দিন কীভাবে নারকীয় এই কাণ্ড তারা ঘটিয়েছিল তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নানা ধরনের কাজের জন্য পরিযায়ী শ্রমিকরা মুর্শিদাবাদ থেকে ওড়িশার ঝাড়শুগুড়ায় যায়। ঈদের আগে তারা সামসেরগঞ্জের বাড়িতে ফিরেছিল। তারপরেই ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Amendment Act) কার্যকর হয়।
সেই আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাফরাবাদে ওই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর ওই অভিযুক্তরা ওড়িশায় পালিয়ে যায়। তদন্তে পুলিশ আরও জেনেছে, মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদের বাবা ও ছেলের খুনের 'মাস্টারমাইন্ড' ছিল জিয়াউল। সে পেশায় একজন টোটোচালক বলে জানা গিয়েছে। বাবার পর এবার তার দুই ছেলেকেও গ্রেফতার করা হল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের ঘটনায় আরও অভিযুক্তদের নাগাল পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
আরও পড়ুন- New Town News: প্রতারণার এমন ফাঁদে সর্বস্বান্ত গোটা পরিবার, জীবন দিয়ে 'ভুলের মাশুল' চোকালেন প্রৌঢ়!
ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে এই রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রবল আন্দোলন শুরু করে সংখ্যালঘু সমাজ। মুর্শিদাবাদের ওয়াকফ প্রতিবাদ সাম্প্রদায়িক হিংসার রূপ নেয়। জঙ্গিপুর থেকে শুরু হয়ে উমরপুর, সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ানের দিকে দিকে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ায়। নির্বিচারে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তিতে। অবাধে চলে লুঠপাট। মন্দির ভাঙচুরেরও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন- SSC protest LIVE: চাকরিহারাদের ঘেরাও-বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা, 'বড় ভরসা' জুগিয়ে এবার কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
দুষ্কৃতীরা মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুন করে। মুর্শিদাবাদের হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। রাজ্য সরকারের শীর্ষ মহল থেকে মুর্শিদাবাদে হিংসায় দোষীদের গ্রেফতারে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়।