Mysterious death of tribal woman in Old Malda: আদিবাসী মহিলার রহস্যমৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পুরাতন মালদায়। মৃত মহিলার পরিবারের দাবি, অতিরিক্ত চোলাই মদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই গৃহবধূর। সোমবার সকালে শোওয়ার ঘর থেকেই আদিবাসী ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানার মঙ্গলবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিনপুর এলাকায়। মৃতদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম পাকলু হেমব্রম (৩৭) । তাঁর স্বামী চন্দ্রা কিসকু। ওই আদিবাসী দম্পতির পরিবারে এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে দীর্ঘদিন আগে এবং একমাত্র ছেলে বর্তমানে সে ভিন রাজ্যে দিনমজুরির কাজে কর্মরত রয়েছে।
মৃতের স্বামী চন্দ্রা কিস্কু জানিয়েছেন, রবিবার রাতে তিনি নারায়নপুর খেড়িবাড়ি এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানেই রাতে তিনি থেকে যান।
এরপর এদিন সকালে বাড়িতে এসে দেখেন শোওয়ার ঘরেই দেহ পড়ে রয়েছে তার স্ত্রীর। আশেপাশে রয়েছে চোলাই মদের সম্ভার। পাকলু হেমব্রম চোলাই মদ খেত সে কোথাও এক বাক্যেই স্বীকার করেছে চন্দ্রা কিসকু। তিনি বলেন, "প্রতিদিনই অতিরিক্ত চোলাই খেত আমার স্ত্রী। আমার ধারণা বেশি চোলাই মদ খাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে স্ত্রীর।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে পথে 'যোগ্যরা', দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত SSC দফতর
এদিকে এই ঘটনার পর মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো ব্যবস্থা করে পুরাতন মালদা থানার পুলিশ। কিন্তু আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে চোলাইয়ের রমরমা কারবার নিয়েও আবারও বিভিন্ন মহলে বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনায় পুলিশ এবং আফগারি দফতরের আরও বেশি করে নজরদারি চালানো উচিত বলে দাবি উঠেছে।
আবগারি দপ্তরের মালদার সুপারিনটেন্ট শুভেন্দু শেঠ জানিয়েছেন, চোলায় খেয়ে মৃত্যুর বিষয়টি পরিষ্কার নয়।
আরও পড়ুন- Malda News: নীলকর সাহেবরা থাকতেন এখানে, এই বাড়ি ঘিরে গা ছমছম করা গল্প আজও লোকমুখে ঘোরে
ময়নাতদন্তে রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই বিষয়টি পরিষ্কার করে বলতে পারবো। তবে আদিবাসীদের কালচারের মধ্যে হাড়িয়া খাওয়ার একটা বিষয় জড়িত রয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এই চোলাইয়ের ব্যবহারের বিষয়টি জানতে পেরেই নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও লুকিয়ে চোলাই বিক্রি করার হলেও সেটিও কড়া মনোভাব নিয়েই দমন করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।