New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/21/eZTjnQqupw8c3FeKcfAm.jpg)
Malda News: এই সেই বাড়ি।
Maldah News: ভগ্নপ্রায় এই বাড়ি ঘিরে এলাকায় আজও নানা গল্প কথা প্রচলিত রয়েছে। গ্রামবাসীদের একাংশের বিশ্বাসের কথা জানলে তাজ্জব হবেন অনেকেই।
Malda News: এই সেই বাড়ি।
একসময় নীলকর সাহেবদের বাংলো, যা আজ গ্রামবাসীদের কাছে ভূত-বাড়ি নামে পরিচিত। কেউ আবার বলেন 'সাহেব দালান বাড়ি'। আজও এলাকার মানুষদের কাছে পরিত্যক্ত নীলকর সাহেবদের সেই বাড়ি নিয়ে রয়েছে ভূতের আতঙ্ক। সন্ধ্যা নামলেই ব্রিটিশ আমলের সেই পরিত্যক্ত বাড়ির আশেপাশে ভিড়তে দেখা যায় না গ্রামবাসীদের।
পুরাতন মালদা ব্লকেট ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙ্গামাটিয়া এলাকায় রয়েছে এক সময়কার নীলকর সাহেবদের এই পরিতক্ত্য বাড়িটি। বর্তমানে সংস্কারের অভাবে ওই বাড়িটি বিভিন্ন অংশ ভেঙেচুরে পড়েছে। আবার এই পরিত্যক্ত বাড়িতে ঘিরেই জঙ্গল, আগাছায় ভরে গিয়েছে। দিনের বেলায় কিছু অল্পবয়সীরা দল বেঁধে সেই বাড়ির আশেপাশে এসে ভূতেরা বাড়ি বলে রিলস বানায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর সেখানে কাউকে যেটা দেখা যায় না।
গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, রাত যত বাড়ে, ততই নাকি ওই বাড়ির ভেতর থেকে বিভিন্ন ধরনের শব্দ ভেসে আসে। পুরাতন মালদার নীলকর সাহেবদের এই বাড়িতে ঘিরে আজও স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের মধ্যে ভূতের আতঙ্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: চাল-কাঁকর আলাদা হবে আজই? বিকেলেই যোগ্যদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে পারে SSC
রাঙ্গামাটিয়া এলাকার অধিকাংশ গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ব্রিটিশ আমলে নীলকর সাহেবেরা তাঁদের রাণীদের নিয়ে এই বাংলোতেই থাকতেন। পরিবারের বাবা ও ঠাকুরদাদাদের মুখ থেকেই শোনা, নীলকর সাহেবদের চলে যাওয়ার পর থেকেই পরিত্যক্ত অবস্থায় এই বাড়িটি পড়ে রয়েছে। গভীর রাতে সেখানে আজও নাকি বিভিন্ন ধরনের নানা শব্দ শোনা যায়। সেখান থেকেই গ্রামবাসীদের অনেকেই ভূতের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রোর ইতিহাসে নতুন নজির! দুই কর্মীর তাকলাগানো কীর্তি দারুণ চর্চায়!
রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ সাহা, কমল হালদারদের বক্তব্য, কিছু অল্পবয়সীরা দিনের আলোতে এই বাড়ির আশপাশে এসে ভুত বাড়ি বলে রিলস্ তৈরি করছে এখন। কিন্তু সন্ধ্যার পর মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে যায় না। তাঁদের কথায়, "আমরাও শুনেছি গভীর রাতে নাকি এই বাড়ি থেকে বিভিন্ন ধরনের শব্দ ভেসে আসে। অথচ এই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরেই রয়েছে একটি চার্চ। গ্রামবাসীদের কারও কাছে এটি ভূতিয়া বাড়ি, আবার কেউ বলেন সাহেব দালান বাড়ি। ব্রিটিশ আমলের এই বাড়িটি যদি প্রশাসন সংস্কার করতো তাহলে হয়তো বাইরে থেকে ঘুরতে আসা মানুষদের মধ্যে একটা উৎসাহ থাকতো।
ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রভুনাথ দুবে বলেন, "ভূত বলে কিছু হয় না। তবুও গ্রামের কিছু মানুষের কাছে ওই পরিত্যক্ত বাড়িটি ভুত বাড়ি হিসেবে পরিচিত। ত্রিবর্গা দেওয়া দোতলা এই বাড়ির বিভিন্ন অংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।। ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে বাড়ির অধিকাংশ চত্বর। এছাড়াও ঝোপ,জঙ্গলের জেরে বিষধর সাপ বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ভূতের আতঙ্কের কথা যে বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ গুজব। এব্যাপারে আমরা গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রচার করে থাকি।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের মালদা জেলার সম্পাদক সুনীল দাস বলেন, "ভূত বলে কিছু হয় না। এসবই কুসংস্কার। যদি তদন্ত করে দেখা যায় নিশ্চয়ই এর পিছনে কোনও অসাধু চক্রের হাত থাকতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় জমি দখলের করতে গিয়ে কৌশলে এই ধরনের নানান গুজব ছড়ায় কেউ কেউ। এর আগেও বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাওয়া হয়েছিল। এরকম কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি সবটাই গুজব। বিগত দিনের সে ব্যাপারে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়েছে।"