/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/06/tehatta-2025-09-06-14-38-32.jpg)
Tehatta PS: নদিয়ার তেহট্ট থানা।
নিখোঁজ থাকা এক বালক ছাত্রের ঝোপের মধ্যের জলাশয় থেকে দেহ উদ্ধারের পর জনরোষে মারা গেল দু'জন। এই ঘটনায় উত্তেজিত এলাকার মানুষ অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম। তেহট্ট থানার নিশ্চিন্তপুর বটতলা এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে ওই ছাত্রের নাম স্বর্ণাভ বিশ্বাস। সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ জনতার বেধড়ক মারে মারা গিয়েছে অভিযুক্ত উৎপল বিশ্বাস ও সোমা বিশ্বাস। এই পরিবারের একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিশ্চিন্তপুর বটতলা এলাকাতে বাড়ি উৎপল বিশ্বাস পেশায় টোটো চালক। বালক ছাত্র স্বর্ণাভ বিশ্বাসদের বাড়ির পাশেই তার বাড়ি। গতকাল দুপুরে স্বর্ণাভ বিশ্বাস বাড়ির পাশেই ছিল।
আরও পড়ুন- SSC Exam: রবিবার SSC-এর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা, সঙ্গে কী রাখতেই হবে, আর কী নয়! রইল তালিকা
আচমকা সে নিখোঁজ হয়ে যায়। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও সে বাড়ি ফেরেনি। উদ্বেগের মধ্যে পড়ে যায় বাড়ির লোকজন। শনিবার সকালে বাড়ির পাশে একটি ঝোপের মধ্যে থাকা জলাশয় থেকে স্বর্ণাভর ত্রিপল জড়ানো দেহ উদ্ধার হয়। এরপরই উত্তেজিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা। তারা সন্দেহে প্রতিবেশী উৎপল বিশ্বাসদের বাড়িতে চড়াও হন।
বাড়ি ভাঙচুর চালিয়ে স্বামী স্ত্রী দু'জন সহ পরিবারের লোকজনদের ব্যাপক মারধর করে। উত্তেজিত স্থানীয়রা বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে উৎপল বিশ্বাস, সোমা বিশ্বাস সহ ৩ জন লুটিয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের তেহট্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু'জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বর্তমানে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন- Kolkata News: অভিষেকের নাম করে ভোটের টিকিটের টোপ, টাকা আদায়ের চেষ্টা, কে গ্রেফতার জানেন?
পুলিশ জানিয়েছে, এই বালকের দেহ উদ্ধারের পর জনরোষে স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মারা গিয়েছে। ওই বালক ছাত্রের দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এই ঘটনা? প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, উৎপল বিশ্বাস একবার টোটো চালিয়ে স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে। সেই ঘটনার পর এলাকায় তার নামে পাচারকারী সন্দেহ করা হয়। তাই স্বর্ণাভ বিশ্বাস নিখোঁজ হতে সমস্ত সন্দেহ পড়ে উৎপল বিশ্বাসের দিকে। সেই সন্দেহ থেকে জনরোষে তারা মারা যায়।