'মমতার অজান্তে হামলার ঘটনা ঘটতেই পারে না', কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় 'বিস্ফোরক' তৃণমূল

নাগরকাটায় বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করতে গিয়ে বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর আক্রমণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

নাগরকাটায় বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করতে গিয়ে বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর আক্রমণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
cats

নাগরকাটায় বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করতে গিয়ে বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু

'আজ যা ঘটেছে, তা সম্পূর্ণভাবে বিজেপির নিজের কর্মফল'। নাগরকাটায় বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করতে গিয়ে বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর আক্রমণের ঘটনায় এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালো তৃণমূল। আর এদিনের হামলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

Advertisment

আরও পড়ুন-নাগরাকাটায় আক্রান্ত BJP, 'কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়', তৃণমূলের বিরুদ্ধে এককাট্টা বাম-কংগ্রেস

নাগরকাটায় বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করতে গিয়ে একদল জনতার বেলাগাম আক্রমণের শিকার হন বিজেপি বিধায়ক  শঙ্কর ঘোষ ও মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন  দুজনেই। মাথা ফাটে খগেন মুর্মুর। তাদের দুজনকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

Advertisment

বিজেপি নেতারা এই ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জঙ্গলরাজ! আদিবাসী নেতা এবং উত্তর মালদহের দুবারের সাংসদ খগেন মুর্মু নাগরকাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা এবং ভূমিধসের পরে যারা ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের বাংলা।”

এই ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তিনি সংবাদ সংস্থা  এএনআইকে বলেন, “আমাদের সাংসদ, বিধায়ক, রাজ্য নেতাদের উপর যে আক্রমণ হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র পুরোপুরি বিপন্ন। আক্রমণে তারা বাংলাদেশি ও মুসলিমদের উস্কে আমাদের সাংসদ এবং বিধায়কদের উপর হামলা চালানো হয়েছে।”

সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক পরিকল্পিত ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও এই ঘটনার সঙ্গে অবগত ছিলেন। তার অজান্তে এত বড় ঘটনা ঘটতে পারে না। উত্তরবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস এখন সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। খগেন মুর্মুকে আক্রমণ করে তারা জনগণের ক্ষোভ থেকে মনোযোগ ঘোরানোর চেষ্টা করছে।” 

যদিও তৃণমূলের তরফে গোটা ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়েছে, "আজ যা ঘটেছে, তা সম্পূর্ণভাবে বিজেপির নিজের কর্মফল। যখন সাধারণ মানুষ ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, তখন বিজেপি নেতারা ১০টিরও বেশি গাড়ির কনভয় নিয়ে শুধুমাত্র ফটোশুটের জন্য এলাকায় গিয়েছিলেন, কোনো ত্রাণ কার্যক্রম ছাড়াই। এতে স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন এবং ঘটনাটি ঘটে। এটি বিজেপির দীর্ঘদিনের অন্যায় ও মানুষের প্রতি অবহেলার ফল।  তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা শুরু থেকেই মাটিতে থেকে নিরলসভাবে মানুষকে সাহায্য করে চলেছেন — বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া যোদ্ধাদের মতো কেবল পোস্ট দিয়ে নয়, বাস্তবে পাশে থেকে"।

আরও পড়ুন-নাগরাকাটায় BJP সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলা, তৃণমূলকেই দুষছে গেরুয়া দল

bjp tmc north bengal