Advertisment

এবার নাসিরুদ্দিনকে দেশদ্রোহী বললেন রামদেব

"বিশ্বের প্রতিটি দেশেই রাজনীতি, ধর্ম নিয়ে কমবেশি অস্থিরতা আছে। কিন্তু সেজন্য কেউ নিজের দেশকে ছোট করে না। দেশের দিকে আঙুল তোলে না।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

নিজের দেশকে ছোট করা দেশদ্রোহিতা বলে মনে করেন রামদেব

শনিবার সোনারপুরে গোবিন্দপুর স্থিত বারুলিতে পথ চলা শুরু হল পূর্ব ভারতের প্রথম বৈদিক পাঠশালার। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় যোগ গুরু এবং শিল্পপতি বাবা রামদেব। এটাই খবর হিসেবে যথেষ্ট হতে পারত, কিন্তু মিশ্রণের মধ্যে ঢুকে পড়লেন নাসিরুদ্দিন শাহ। এবং বলিউড অভিনেতার "অসহিষ্ণু" মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে রামদেব বললেন, নাসিরুদ্দিন "দেশদ্রোহী"।

Advertisment

যোগ গুরু বলেন, "আমাদের দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আছে, তা নিয়ে অশান্তিও আছে। কিন্তু ধর্ম নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই রাজনীতি, ধর্ম নিয়ে কমবেশি অস্থিরতা আছে। কিন্তু সেজন্য কেউ নিজের দেশকে ছোট করে না। দেশের দিকে আঙুল তোলে না। যাঁরা এসব করেন, তাঁরা দেশদ্রোহিতার কাজ করেন।"

আরও পড়ুন: "পুলিশের মৃত্যুর চেয়ে গোহত্যার প্রাসঙ্গিকতা এখন অনেক বেশি"

উল্লেখ্য, মূলত দুটি মন্তব্যের জেরে নাসিরুদ্দিন জাতীয়তাবাদীদের রোষের মুখে পড়েছেন। এক, উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় এক পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, "পুলিশ মৃত্যুর চেয়ে গোহত্যার গুরুত্ব এখন অনেক বেশি।" এবং এই মন্তব্যে ঝড় ওঠায় তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল, "যদি ওঁদের সমালোচনা করার অধিকার থাকে, তবে আমারও আছে। আমার দেশের প্রতি উদ্বিগ্ন হয়েই আওয়াজ তুলেছি। দেশকে আমি ভালবাসি…আমার উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। কী ভুল করেছি?"

এদিন বুড়ালি গোবিন্দপুরে পূর্ব ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক বৈদিক পাঠশালার উদ্বোধন করেন রামদেব। মূলত বেদ, বেদান্ত, উপনিষদ সহ সনাতন হিন্দুধর্ম ও ভারতবর্ষের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির শিক্ষা দেওয়ার জন্যই এই স্কুলের স্থাপনা করা হয়েছে। পাশাপাশি এখানে ইংরাজী, কম্পিউটার সায়েন্সের পাঠও দেওয়া হবে। আপাতত ৫৫ জন আবাসিক ছাত্র নিয়ে পাঠশালা চালু হয়েছে। প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে ৯ থেকে ১২ বছর বয়সী ছেলেরা এখানে ভর্তি হতে পারবে। এটি দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক বৈদিক পাঠশালা বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠাতা গোষ্ঠী। সারা দেশে মোট ৩৪ টি বৈদিক পাঠশালা চালু রয়েছে।

publive-image এই বৈদিক পাঠশালায় আপাতত ৫৫ জন পড়ুয়া

পাঠশালার উদ্বোধন করে রামদেব বলেন, "বৈদিক শিক্ষা থেকে আমরা অনকেটাই দূরে সরে গেছি। অথচ বৈদিক শিক্ষাই আমাদের ঐতিহ্য। ঋকবেদ বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন গ্রন্থ। সংস্কৃত সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা। কিন্তু সেই বেদের ও সংস্কৃতের চর্চা এখানে হয় না। তাই ক্রমেই আমরা পিছিয়ে পড়ছি।"

আরও পড়ুন: শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগে ভারতের স্কোর ১৫৮

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামদেব মহারাজ ছাড়াও স্বামী গোবিন্দদেব গিরি মহারাজ, পাঠশালার প্রতিষ্ঠাতা শ্রী সুধীর জালান সহ অন্যান্যরা। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ দপ্তরের মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর উপস্থিত থাকতে না পারলেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই পাঠশালার উদ্বোধনের বার্তা পাঠান। তিনি বলেন, "বৈদিক শিক্ষা প্রসারে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে। পরবর্তীতে বৈদিক বোর্ড তৈরি করারও ইচ্ছা রয়েছে।"

বৈদিক শিক্ষাগুরু গোবিন্দ গিরি মহারাজ বলেন, "এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য বৈদিক সংস্কৃতি এবং বৈদিক আচার আচরণ বিশ্বের দরবারে ছড়িয়ে দেওয়া। এখানে বেদ পাঠের শিক্ষার সঙ্গে সঠিক উচ্চারন, বৈদিক সাহিত্য পাঠ, সব শেখানো হবে। পাশাপাশি ইংরাজি ও কম্পিউটারও শিখিয়ে বিশ্বের দরবারে এরা যাতে বৈদিক শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিতে পারে তা দেখা হবে।"

Bulandshahr Vedanta Naseeruddin Shah
Advertisment