New North East Link To Kolkata: পাকিস্তানের পর বাংলাদেশকে 'মুখতোড় জবাব', ইউনূসের দম্ভ মাটিতে মিশিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

New North East Link To Kolkata: কেন্দ্র শিলং থেকে শিলচর পর্যন্ত প্রথম 'হাই-স্পিড' করিডর নির্মাণ করতে চলেছে। যা সমুদ্রপথে বিকল্প সংযোগ গড়ে তুলবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে কলকাতার।

New North East Link To Kolkata: কেন্দ্র শিলং থেকে শিলচর পর্যন্ত প্রথম 'হাই-স্পিড' করিডর নির্মাণ করতে চলেছে। যা সমুদ্রপথে বিকল্প সংযোগ গড়ে তুলবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে কলকাতার।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
modi yunus meet

পাকিস্তানের পর বাংলাদেশকে 'মুখতোড় জবাব', ইউনূসের দম্ভ মাটিতে মিশিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

New North East Link To Kolkata: পাকিস্তানের পর বাংলাদেশকে 'মুখতোড় জবাব'। মহম্মদ ইউনূসের দম্ভ মাটিতে মিশিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর আগে ইউনূস  বেজিংয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ভারতের উত্তর পূর্ব রাজ্য স্থলবেষ্টিত। বাংলাদেশ এই সমগ্র অঞ্চলের সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। এবার শিলং থেকে শিলচর পর্যন্ত জাতীয় সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে ইউনূসকে যোগ্য জবাব দিতে চলেছে মোদী সরকার। 

Advertisment

কেন্দ্র শিলং থেকে শিলচর পর্যন্ত প্রথম 'হাই-স্পিড' করিডর নির্মাণ করতে চলেছে। যা সমুদ্রপথে বিকল্প সংযোগ গড়ে তুলবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে কলকাতার। এর মাধ্যমে ইউনূসকে যোগ্য জবাব দিতে চলেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। 

শিলং (মেঘালয়) থেকে শিলচর (অসম) পর্যন্ত নতুন চার লেনের হাইওয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনবে। এই প্রকল্প শুধু উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম 'হাই-স্পিড' করিডর নয়, এটি মায়ানমারের মাধ্যমে ভারতের বহুমুখী পরিবহন প্রকল্প ‘কালাদান মাল্টিমোডাল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট’-এর সম্প্রসারণ হিসেবেও কাজ করবে। ফলে, বাংলাদেশের উপর নির্ভর না করেই উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে কলকাতার বিকল্প সমুদ্রপথে সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে।

'ওয়াটার স্ট্রাইকের' পর 'ট্রেড স্ট্রাইক'! পাকিস্তানকে ভাতে মারতে মরিয়া ভারত, নয়া প্ল্যান কাঁদিয়ে ছাড়ল

Advertisment

বাংলাদেশের মন্তব্যে কড়া জবাব ভারতের

মহম্মদ ইউনূস বেজিংয়ে বলেছিলেন, ভারতের উত্তর পূর্ব অঞ্চল স্থল বেষ্টিত।ম বাংলাদেশ এই সমগ্র অঞ্চলের সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক ।তার এই বক্তব্যের কিছুদিন পরই তিনি থাইল্যান্ডে BIMSTEC সম্মেলনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে মোদী স্পষ্ট করে বলেন, “এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য এড়ানো উচিত।”

২০২৫ সালের মধ্যে শিলং-শিলচর হাইওয়ে তৈরি, খরচ ২২,৮৬৪ কোটি টাকা

এই প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৬৬.৮ কিলোমিটার। মেঘালয়ে ১৪৪.৮ কিমি এবং অসমে ২২ কিমি বিস্তৃত এই রাস্তা নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৩০ এপ্রিল ২২,৮৬৪ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই হাইওয়ে নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (NHIDCL)। নতুন রাস্তাটি চালু হলে শিলং থেকে শিলচর যাওয়ার সময় ৮.৩০ ঘণ্টা থেকে কমে ৫ ঘণ্টা হয়ে যাবে। এই প্রকল্প নির্মাণ সম্পুর্ণ হলে সড়ক ও সমুদ্রপথে মাল পরিবহণ অনেক সহজ হবে। বাংলাদেশকে বাদ দিয়েই বিশাখাপত্তনম এবং কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে মাল পাঠানো সম্ভব হবে।

কৌশলগত গুরুত্ব ও চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে

এই হাইওয়ে প্রকল্পটি শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, কৌশলগত দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি ভারতের সংযোগ একমাত্র শিলিগুড়ি করিডোর বা ‘চিকেনস নেক’ দিয়ে হয়। নতুন রাস্তাটি চালু হলে বিকল্প একটি রুট তৈরি হবে,  যা পরবর্তীতে সেনা এবং পণ্য পরিবহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। 


ইউনূসের মন্তব্যে কূটনৈতিক কড়া বার্তা

এই বছরের মার্চ মাসে বেজিংয়ে একটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে মহম্মদ ইউনূস দাবি করেন, “ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ সম্পূর্ণভাবে স্থলবেষ্টিত এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশই একমাত্র সমুদ্রপথের অভিভাবক।” কিছুদিন পর, থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত BIMSTEC সম্মেলনে ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, সেখানে মোদী স্পষ্ট করে বলেন, “এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য পরিহার করা উচিত।”

বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানকে আরও কোনঠাসা করার মাস্টারপ্ল্যান, অপারেশন সিন্দুর নিয়ে মোদীর বিরাট কূটনৈতিক পদক্ষেপ

২২,৮৬৪ কোটি টাকার প্রকল্প, সময় কমবে ৩.৫ ঘণ্টা

নতুন হাইওয়ের দৈর্ঘ্য ১৬৬.৮ কিলোমিটার—এর মধ্যে ১৪৪.৮ কিমি মেঘালয়ে এবং ২২ কিমি অসমে পড়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২২,৮৬৪ কোটি টাকার অনুমোদন দিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে নির্মাণ শেষ হবে বলে জানিয়েছে NHIDCL (ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড)। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হলে শিলং থেকে শিলচর পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ৫ ঘণ্টা, যা আগে ছিল প্রায় ৮ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

বাংলাদেশের বিকল্প সমুদ্রপথে যোগাযোগ
এই হাইওয়ে নির্মাণের ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে কলকাতা ও বিশাখাপত্তনম বন্দর থেকে সড়ক ও জলপথে মাল পরিবহণ সহজ হবে। আর তার জন্য বাংলাদেশকে আর ব্যবহার করতে হবে না। এর ফলে ভারতের কৌশলগত স্বয়ংসম্পূর্ণতা আরও শক্তিশালী হবে।

কৌশলগত গুরুত্ব ও বিকল্প করিডোর
বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি ভারতের যোগাযোগের একমাত্র পথ ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডোর। নতুন হাইওয়ে চালু হলে আরও একটি বিকল্প রুট তৈরি হবে, যা যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সেনা ও মাল পরিবহণে কার্যকরী ভূমিকা নেবে।

দুর্গম এলাকায় আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ
এই হাইওয়ের বড় অংশ পাহাড়ি অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাবে, যেখানে ভূমিধসের আশঙ্কা বেশি। তাই এখানে ব্যবহার করা হবে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন:

  • Slope stabilisation
  • LiDAR scanning
  • Rock anchors ও wire mesh প্রযুক্তি
  • Piezometer, Geophone, Inclinometer ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ যন্ত্র

এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত থাকছে—

  • ১৯টি বড় সেতু
  • ১৫৩টি ছোট সেতু
  • ৩২৬টি কালভার্ট
  • ২২টি আন্ডারপাস
  • ২৬টি ওভারপাস
  • ৮টি লিমিটেড হাইট সাবওয়ে
  • ৩৪টি ভায়াডাক্ট

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে Hybrid Annuity Mode (HAM)-এ, অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগে।

হাতে গোণা আর মাত্র কয়েক ঘন্টা, ঝেঁপে বৃষ্টি রাজ্যের কোন কোন জেলায়? রইল লেটেস্ট ওয়েদার আপডেট

modi Muhammad Yunus Bangladesh