দুর্নীতির অভিযোগ ওড়ালেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। 'আমার আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি', বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে বললেন বর্তমানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য। বুধবার শিলিগুড়িতে এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে ম্যারাথন জিজ্যাসাবাদ করে সিবিআই। স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসির প্রাক্তন এই কর্তাকে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাঁর কলকাতার বাঁশদ্রোণির একটি ফ্ল্যাটও সিল করে দেওয়া হয়।
২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্যই এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই সময়ে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই এসএসসির প্রাক্তন দুই উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং অশোক সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার গ্রেফতার হয়েছে প্রদীপ সিং নামে আরও এক ব্যক্তি। ধৃত প্রদীপ সিং মিডলম্যান হিসেবে কাজ করত বলে দাবি তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন- কেষ্ট যেতেই ‘বন্ধ’ টিকিট কাউন্টার, আসানসোল হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ রোগীদের
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে সুবীরেশ ভট্টাচার্যেরও। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কাছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর কে বাগের কমিটির দেওয়া রিপোর্টে উল্লেখ, ৩৮১টি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষা না দিয়েই চাকরি পেয়েছেন বলে দাবি। বাগ কমিটির ওই রিপোর্টে সুবীরেশ ভট্টাচার্যের নামও উল্লেখ রয়েছে। সুবীরেশ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা উচিত বলেও সুপারিশ করে জানিয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত বাগের কমিটি।
আরও পড়ুন- গরু পাচার মামলা: কেষ্টর রক্তচাপ বাড়িয়ে তদন্তে ঝড় তুলতে ময়দানে এবার ED
এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গরাদের পিছনে দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও। তদন্তে নেমে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাটে মিলেছে তাল তাল সোনা, মুঠো-মুঠো রুপো। মিলেছে হীরের গয়নাও।
আরও পড়ুন- পুলিশকেই তলব পুলিশের! কয়লাকাণ্ডে CID ডেকে পাঠাল ১০ অফিসারকে
এছাড়াও অর্পিতার ফ্ল্যাটে একগুচ্ছ জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটের দলিলও উদ্দার হয়েছে। চাকরি বিক্রির টাকাতেই নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ ওই সম্পত্তির 'মালিক' পার্থ-অর্পিতা, এমনই দাবি ইডির। তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখনও পুরোপুরিভাবে সহযোগিতা না করলেও অর্পিতাকে জেরায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।