কর্নাটকে বিপুল জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া শুনে মুচকি হাসছে রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূলের নো ভোট টু বিজেপি স্লোগান কাজ করেছে কর্নাটকে, রাজ্য কংগ্রেস এই তত্বকে আবোল-তাবোল বলে কটাক্ষ করেছে। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচনে কি করতে গিয়েছিল তৃণমূল? প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।
এদিন কর্নাটক নির্বাচনে কংগ্রেসের হাসি চওড়া হতে শুরু করতেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইট করেন, 'No vote to BJP শ্লোগান কাজ করছে। মানুষ রাজ্য বিজেপি ও দিল্লি থেকে আসা মুখগুলিকে প্রত্যাখ্যান করছেন। বিজেপিবিরোধীরা যে যেখানে শক্তিশালী, তাদের সামনে রেখেই বিকল্প জোটের ফর্মুলার প্রাসঙ্গিকতা প্রমাণিত হচ্ছে।' একই বক্তব্য শোনা যায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের গলায়। 'No vote to BJP' স্লোগান কাজ করছে কর্নাটকে, তৃণমূলের এই দাবি মানতে একেবারেই নারাজ কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- কর্ণাটকে পরাজিত বিজেপি, ‘স্যালুট’ জানালেও কংগ্রেসের নাম নিলেন না, রাহুলেও নীরব মমতা
কর্নাটক প্রসঙ্গে তৃণমূলের বক্তব্যে কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, 'এই সব আবোদল-তাবোল বিষয়ের উত্তর দেওয়া যায় না। এর কোনও জবাব হয় না। এর আগে তৃণমূল দাবি করেছিল, 'কংগ্রেস বিজেপিকে হারাতে পারছে না। তাই গোয়া, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে জয়ের জন্য ভোটে লড়তে যায় ঘাসফুল শিবির। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, শুধু প্রার্থী দিতে নয় ভিন রাজ্যে জয়ের জন্য়ই তাঁরা যাচ্ছেন। প্রবীণ কংগ্রেস নেতার দাবি, কংগ্রেসের ক্ষতি করার জন্য ওরা উঠে পড়ে লেগেছিল তাই ওখানে গিয়েছিল। ওখানে হেরে গিয়েছে কিন্তু কংগ্রেসের ক্ষতিটা করে দিয়েছে। এটাতে ওদের আনন্দ। এটায় বিজেপিও খুশি। এটা সহজ ব্যাপার।'
বিজেপি বিরোধী জোট হিসাবে কংগ্রেসের নেতৃত্ব যে তৃণমূল মানবে না তা আগেই ঘোষণা করেছিল ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, 'এই অঙ্ক থেকে শিক্ষা লাভ করলে ওরা কংগ্রেসের পিছনে আর লাগবে বলবে মনে হয় না। কংগ্রেসের সঙ্গে কথা বলবে বলে বিশ্বাস। আর ওরা যদি মনে করে কাউকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে, কংগ্রেস বা রাহুল গান্ধিকে খর্ব করতে হবে সেটা কিন্তু একটা খোয়াব দেখা হবে।'