/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/29/police-2025-10-29-11-12-34.jpg)
প্রতীকী ছবি।
উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যার ঘটনায় নতুন মোড়। মৃত প্রদীপ করের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। BJP-র তরফে প্রকাশিত ভোটার তালিকাতেও মৃত প্রদীপ করের নাম দেখা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জানা গেছে, গত ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় প্রদীপ করের নাম রয়েছে। বিশেষ করে ৮৩ নম্বর পাটের তালিকার ১৬ নম্বর স্থানে মৃত প্রদীপ করের নাম নথিভুক্ত রয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে — ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও কেন আত্মঘাতী হলেন প্রদীপ কর?
এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র তরজা। BJP নেতা সজল ঘোষ বলেন, “প্রদীপবাবু জানতেন না, তিনি মরে সেলিব্রিটি হয়ে যাবেন। ২০০২ সাল থেকেই ভদ্রলোকের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে। উদ্বেগের কোনও কারণই ছিল না। এটা নোংরা রাজনীতি, যা পশ্চিমবঙ্গকে আরও অধঃপতনের দিকে নিয়ে যাবে। মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখন রুখে দাঁড়ানো ছাড়া আর কোনও পথ নেই।”
অন্যদিকে, তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, “প্রদীপ করের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থাকুক বা না থাকুক, আসল কষ্টের জায়গা সেটা নয়। তিনি আত্মহত্যার আগে স্পষ্ট লিখে গেছেন — কারণ NRC। বিজেপি গোটা দেশে এনআরসি চালু করতে চায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, সারা দেশে এনআরসি হবে। এমন পরিস্থিতিতে যদি একজন মানুষ এনআরসি আতঙ্কে মারা যান, তবে আমরা কেন পুরনো তালিকা খুঁজব?”
আরও পড়ুন- Air Pollution: “দম নেওয়াই দায়!”, দীপাবলির পর দিল্লিতে বিষাক্ত বাতাসে হাঁসফাঁস রাজধানী
এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, BJP-র “ভয় দেখানোর রাজনীতি”-র ফলেই এমন মর্মান্তিক পরিণতি। অন্যদিকে, বিরোধীরা বলছে, এটি তৃণমূলের রাজনৈতিক নাটক।পানিহাটির এই ঘটনা ঘিরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us