/indian-express-bangla/media/media_files/2024/10/22/sgwwvxS58C5zTsUFUopy.jpg)
Kalyan Banerjee: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
Bengali migrant-worker harassment case: BJP শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের উপর হেনস্থার অভিযোগে বারবার সোচ্চার তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার অভিযোগে মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। রাজ্যের তরফে সওয়াল করেছিলেন তৃণমূলের সাংসদ তথা প্রবীণ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ভরা আদালতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরীতে যাওয়ার নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন ওড়িশার অ্যাডভোকেট জেনারেল পি আচার্য।
উল্লেখ্য, বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওড়িশা সরকার গ্রেফতার করছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে আজ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ওড়িশার এজি-র কাছে জানতে চান বেছে বেছে বাঙালিদেরই কেন যাচাই করা হচ্ছে? ওড়িশায় কতজন তামিল-গুজরাটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই প্রশ্নও করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর হাইকোর্ট ওড়িশার অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে জানতে চায় যে ওড়িশায় ওই বাঙালিদের আটক না গ্রেফতার করা হয়েছে? বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে ওড়িশার এজি জানিয়েছেন ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী নাগরিকত্ব নিয়ে যাঁদের ক্ষেত্রে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল কেবলমাত্র তাঁদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তাঁদের নাগরিকত্বের প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হঠাৎ করে ঠিক কী কারণে বাঙালিদেরই সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওড়িশায়? এদিন সেই প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই প্রশ্নের উত্তরে ওড়িশার এজি পি আচার্য বলেন, "এমনভাবে বাঙালি এবং অবাঙালি বলে সবাইকে বিভ্রান্ত করবেন না। এটা রাষ্ট্রের সুরক্ষার ব্যাপার। আপনি পুরীতে আসুন আপনাকে নিমন্ত্রণ রইল। বাঙালিরা আমাদের ভাই, আমাদের প্রতিবেশী। আমাদের প্রধান বিচারপতিও বাংলা থেকেই এসেছেন। এখানে কোনও বিভ্রান্তির ব্যাপার নেই। শুধুমাত্র তাঁরা দেশের নাগরিক কিনা সেটা যাচাই করা হচ্ছে।" আগামী ২৯ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হবে।