odisha student sexual harassment: যৌন হয়রানির অভিযোগে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় কলেজ ক্যাম্পাসে আত্মহত্যার চেষ্টা ছাত্রীর। তোলপাড় ফেলা ঘটনায় চূড়ান্ত শোরগোল। আর এবার এই ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা তৃণমূলের।
শনিবার, যৌন হয়রানির শিকার হয়ে ওড়িশার কলেজ ক্যাম্পাসেই এক ছাত্রী নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, ওই ছাত্রী একজন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু সেই বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম পদক্ষেপের পথে হাঁটেন ওই পড়ুয়া। এই ঘটনায় ছাত্রীটির ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে, ওই ছাত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপরই চরম পদক্ষেপ নেয় ওই পড়ুয়া। ছাত্রীটিকে বাঁচাতে গিয়ে আরও একজন ছাত্রীও আগুনে পুড়ে যায় এবং দুজনকেই জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ছাত্রীটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভুবনেশ্বরের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস) -এ রেফার করা হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, নির্যাতিতা কলেজের ইন্টিগ্রেটেড বি.এড. কোর্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে তিনি এক সপ্তাহ ধরে কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচিও চালাচ্ছিলেন।
অধ্যক্ষ দিলীপ ঘোষ বলেন, "ছাত্রীটি আমার কাছে এসে শিক্ষিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিল। তাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল, তাই আমি তাকে কাউন্সেলিং করার পরামর্শ দিই। ৩০ জুন ওই ছাত্রী একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (ICC) বর্তমানে তদন্ত করছে।"অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে। ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে অধ্যক্ষকেও।
বালেশ্বরের বিধায়ক মানস দত্ত বলেন, "ছাত্রীটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো তার জীবন বাঁচানো।" ভুক্তভোগীর বন্ধুদের মতে, বিভাগীয় প্রধানের দ্বারা হয়রানির অভিযোগের কারণে ছাত্রীটি গত বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। বন্ধুরা আরও জানিয়েছেন যে কলেজ প্রশাসন বা পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ওই ছাত্রী মানসিক ভাবে আরও ভেঙে পড়েন।
এদিকে এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের 'বেটি বচাও' প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দলের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে বলা হয়েছে, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝির নীরবতা ও প্রধানমন্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া না জানানোর ঘটনা ‘লজ্জাজনক’। ‘‘বেটি বচাও, বেটি পড়াও’’ প্রকল্প কার্যত এক ভাঁওতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।