রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর রূপ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী অখিল গিরি। যা নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই অনুতাপ প্রকাশ করেছেন খোদ মন্ত্রী। তবুও এই ইস্যুতে তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা। অখিল গিরির বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তুলেছে বিজেপি। থানায় এফআইআর থেকে প্রতিবাদ মিটিং, মিছিলও করেছে পদ্ম শিবির। তৃণমূল তপশিলি জাতি-উপজাতির প্রতি আদপে শ্রদ্ধাশীল নয় বলে তোপ দাগছেন শুভেন্দু, সুকান্তরা। ফলে অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যের শাসক দলের। শনিবার বেলা বাড়তেই তড়িঘড়ি অখিল গিরির মন্তব্যের নিন্দা করল তৃণমূল। দলের সরকারি টুইটার হ্যান্ডলে নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে, ঘুরিয়ে যে মন্ত্রীর পাশেই রয়েছে জোড়া-ফুল তা এ দি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মন্তব্যেই স্পষ্ট।
কী লেখা হয়েছে তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডলে?
অখিল গিরির মন্তব্য ইস্যুতে দলের অবস্থান সাফ করে দিতে সর্বভারতীয় তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। সেখানে লেখা আছে, 'ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতি, শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমাদের পরম শ্রদ্ধা। আমাদের দলের বিধায়কের করা দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করি এবং স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে অখিল গিরির মন্তব্যের আমরা তীব্র বিরোধিতা করি। নারীর ক্ষমতায়নের যুগে এ ধরনের দুর্ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।'
রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অবনাননাকর মন্তব্যের দায় তৃণমূলের তরফে ঝেড়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু, শাসক দলেরই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ওই বক্তব্যের জন্য বর্ষীয়ান অখিল গিরির তেমন দোষ দেখছেন না।
কুণালের বক্তব্য
ফোনে এবিপি আনন্দকে কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সর্বস্তরের মহিলাদের সম্মান করে, রাষ্ট্রপতিকে তো বটেই। এই অখিলবাবুকে তো লাগাতার অপমানজনকভাবে উনি কেমন দেখতে, কী পড়েন তা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্ররোচনা দিয়ে গিয়েছেন। উনি বয়স্ক মানুষ। শুভেন্দুর প্ররোচনায় পা দিয়ে ফেলেছেন।' বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে কুণালের দাবি, 'যখন ভোটের সময় প্রধানমনন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে ও-দিদি, ও-দিদি বলেছিলেন সেটা কী একজন মহিলার প্রতি খুব শালীন ছিল? আর সৌমিত্র খাঁ কমিশনে অভিযোগ করেছেন, অথচ যেদিন ওনার স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল তৃণমূলে এসেছিল সেদিন কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাঁকে অপমান করেছিলন। সেসব কী বিজেপি ভুলে গিয়েছে।'
কী বলেছিলেন অখিল গিরি?
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী অখিল গিরির রূপ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁকে ‘দাঁত ফোকলা’ মন্ত্রী বলে বিঁধেছিলেন বিরোদী দলনেতা। শুধু তাই নয়, অখিল গিরিকে ‘কাকের মতো দেখতে’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি অবমাননা: অস্বস্তি বাড়তেই অনুতাপ প্রকাশ মমতার মন্ত্রীর, বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি সৌমিত্রর
শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিতে গিয়েই এবার খোদ রাষ্ট্রপতিকে টেনে আনেন অখিল গিরি। এ দিন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য একটি টুইট পোস্ট করেছেন। সেই টুইটে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও রয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কোনও একটি সভায় বক্তব্য রাখছেন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অখিল গিরি। তাঁর সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ভরা সভায় বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে হঠাৎই মন্ত্রী অখিল গিরি বলে ওঠেন, ‘আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?’ এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিতর্ক বাড়তেই অনুতাপ প্রকাশ করেন খোদ অখিল গিরি। বলেন, ‘এক মাস আগে থেকে শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন জায়গায় আমার সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন। আমি বয়স্ক মানুষ। আমার মনে ক্রোধ জন্মেছিল। রাষ্ট্রপতি মহোদয়াকে আমি কোনও অসম্মান করিনি। তাঁর প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। যে কথা আমার মুখ থেকে বেরিয়েছে, তা ক্রোধের বশে বেরিয়ে এসেছে। আমি অনুতপ্ত।'
বেলাগাম অখিল: দায় ঝেড়ে ফেললেও ঘুরিয়ে মন্ত্রীর হয়েই সাফাই তৃণমূলের
হজম না করে ঢোক গিলছে শাসক শিবির।
Follow Us
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর রূপ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী অখিল গিরি। যা নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই অনুতাপ প্রকাশ করেছেন খোদ মন্ত্রী। তবুও এই ইস্যুতে তুঙ্গে রাজনৈতিক চর্চা। অখিল গিরির বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তুলেছে বিজেপি। থানায় এফআইআর থেকে প্রতিবাদ মিটিং, মিছিলও করেছে পদ্ম শিবির। তৃণমূল তপশিলি জাতি-উপজাতির প্রতি আদপে শ্রদ্ধাশীল নয় বলে তোপ দাগছেন শুভেন্দু, সুকান্তরা। ফলে অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্যের শাসক দলের। শনিবার বেলা বাড়তেই তড়িঘড়ি অখিল গিরির মন্তব্যের নিন্দা করল তৃণমূল। দলের সরকারি টুইটার হ্যান্ডলে নিন্দা করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে, ঘুরিয়ে যে মন্ত্রীর পাশেই রয়েছে জোড়া-ফুল তা এ দি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মন্তব্যেই স্পষ্ট।
কী লেখা হয়েছে তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডলে?
অখিল গিরির মন্তব্য ইস্যুতে দলের অবস্থান সাফ করে দিতে সর্বভারতীয় তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। সেখানে লেখা আছে, 'ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতি, শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুকে আমাদের পরম শ্রদ্ধা। আমাদের দলের বিধায়কের করা দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করি এবং স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে অখিল গিরির মন্তব্যের আমরা তীব্র বিরোধিতা করি। নারীর ক্ষমতায়নের যুগে এ ধরনের দুর্ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।'
রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অবনাননাকর মন্তব্যের দায় তৃণমূলের তরফে ঝেড়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু, শাসক দলেরই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ওই বক্তব্যের জন্য বর্ষীয়ান অখিল গিরির তেমন দোষ দেখছেন না।
কুণালের বক্তব্য
ফোনে এবিপি আনন্দকে কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সর্বস্তরের মহিলাদের সম্মান করে, রাষ্ট্রপতিকে তো বটেই। এই অখিলবাবুকে তো লাগাতার অপমানজনকভাবে উনি কেমন দেখতে, কী পড়েন তা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্ররোচনা দিয়ে গিয়েছেন। উনি বয়স্ক মানুষ। শুভেন্দুর প্ররোচনায় পা দিয়ে ফেলেছেন।' বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে কুণালের দাবি, 'যখন ভোটের সময় প্রধানমনন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীকে ও-দিদি, ও-দিদি বলেছিলেন সেটা কী একজন মহিলার প্রতি খুব শালীন ছিল? আর সৌমিত্র খাঁ কমিশনে অভিযোগ করেছেন, অথচ যেদিন ওনার স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল তৃণমূলে এসেছিল সেদিন কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাঁকে অপমান করেছিলন। সেসব কী বিজেপি ভুলে গিয়েছে।'
কী বলেছিলেন অখিল গিরি?
সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী অখিল গিরির রূপ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁকে ‘দাঁত ফোকলা’ মন্ত্রী বলে বিঁধেছিলেন বিরোদী দলনেতা। শুধু তাই নয়, অখিল গিরিকে ‘কাকের মতো দেখতে’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতি অবমাননা: অস্বস্তি বাড়তেই অনুতাপ প্রকাশ মমতার মন্ত্রীর, বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি সৌমিত্রর
শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিতে গিয়েই এবার খোদ রাষ্ট্রপতিকে টেনে আনেন অখিল গিরি। এ দিন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য একটি টুইট পোস্ট করেছেন। সেই টুইটে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও রয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কোনও একটি সভায় বক্তব্য রাখছেন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অখিল গিরি। তাঁর সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ভরা সভায় বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে হঠাৎই মন্ত্রী অখিল গিরি বলে ওঠেন, ‘আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?’ এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।
এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিতর্ক বাড়তেই অনুতাপ প্রকাশ করেন খোদ অখিল গিরি। বলেন, ‘এক মাস আগে থেকে শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন জায়গায় আমার সম্পর্কে কটূক্তি করেছিলেন। আমি বয়স্ক মানুষ। আমার মনে ক্রোধ জন্মেছিল। রাষ্ট্রপতি মহোদয়াকে আমি কোনও অসম্মান করিনি। তাঁর প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে। যে কথা আমার মুখ থেকে বেরিয়েছে, তা ক্রোধের বশে বেরিয়ে এসেছে। আমি অনুতপ্ত।'