Advertisment

ফিকে অনুব্রত, জেলে যেতেই তারাপীঠে রাস্তার দু'ধারের ফ্লেক্স থেকে উধাও 'কেষ্ট'র ছবি

তবে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি জ্বলজ্বল করছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
on kaushiki amavasya anubrato mondol-s images are not visible on flex of tarapith road

রাস্তার ধারজুড়ে শুধুই মমতার ছবি জ্বলজ্বল করছে।

জেলে যেতেই কার্যত মুছে ফেলা শুরু হল অনুব্রত মণ্ডলকে। তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যায় ফ্লেক্স থেকে হঠাৎই উধাও দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। তবে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি জ্বলজ্বল করছে।

Advertisment

মুখ্যমন্ত্রী ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রামপুরহাটে এসে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে যান। এরপরেই জোর কদমে শুরু তারাপীঠের উন্নয়ন। রামপুরহাট – তারাপীঠ রাস্তা কোথাও ডবল আবার কোথাও চার লেন তৈরি হয়েছে। বিষয়টি সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ২০১৮ সাল থেকে অমাবস্যার আগে রামপুরহাট-তারাপীঠ রাস্তার দু-ধারে মুখ্যমন্ত্রী থেকে দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ফ্লেক্সে ছেয়ে যেত। ২০১৯ সালেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল জেলে যেতেই এবার ফ্লেক্স থেকে উধাও অনুব্রত।

আরও পড়ুন- দুর্নীতির আশঙ্কা, তারাপীঠে নিষিদ্ধ হল অনলাইন পুজো

শুক্রবার দুপুরে তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যার তিথি। ভক্তসমাগমে পরিপূর্ণ হবে তারাপীঠ। কোভিডের দু'বছর সমাগম হয়নি। এবার পাঁচ লক্ষ পূর্ণার্থীর ভিড় হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তারাপীঠ যাওয়ার রাস্তার দু’ধারে ফ্লেক্স দিতে শুরু করেছে তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের। তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে ছেয়ে গিয়েছে রাস্তার দু’ধার। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের ছবি তো দুরের কথা, কোথাও তাঁর নাম নিশান দেখা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন- কেষ্ট যেতেই ‘বন্ধ’ টিকিট কাউন্টার, আসানসোল হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ রোগীদের

বিরোধীদের অভিযোগ, ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর রামপুরহাট কিষাণ মাণ্ডিতে আয়াস অঞ্চলের বুথ ভিত্তিক আলোচনার সময় মেজাজ হারিয়ে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অপদার্থ’ বলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তারই বদলা নিতে আশিসবাবু সুযোগ বুঝে অনুবত মণ্ডলকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন। যদিও আশিসবাবু বলেন, 'এই প্রশ্নের কোন উত্তর দেব না।'

বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, 'দলের অনেক নেতাই এখন আর গরু চোরের মুখ দেখতে চান না। তাছাড়া পুন্যার্থীরা গরু চোরের মুখের ছবি দেখ পুণ্য কাজে যেতে চান না। তাই অনুব্রত মণ্ডলের ছবি দিতে চাননি। তাছাড়া আশিসবাবুও অপমানের বদলা নিলেন।'

Tarapith Rampurhat anubrata mondal tmc Mamata Banerjee
Advertisment