On March 11 Basant Utsav will be held in Visva Bharati: বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব হবে আগামী ১১ মার্চ। এবারও গতবারের মতো সাবেকি প্রথায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বসন্ত উৎসব (Basanta Utsav)। সেখানে একমাত্র বিশ্বভারতীর সঙ্গে যুক্তরাই অংশগ্ৰহণ করতে পারবেন। এবারও সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসবে। বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসন্ত উৎসব নিয়ে কর্মীমণ্ডলীর বৈঠক বসেছিল। সেই বৈঠকে উপাচার্য বিনয় কুমার সোরেন-সহ পাঠভবন, শিক্ষাসত্র সহ বিভিন্ন ভবনের অধ্যক্ষ এবং আধিকারিকরা ছিলেন। সেখানেই বসন্ত উৎসব পরিচালনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। ঠিক হয়েছে, গতবারের মতো এবারও বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসবে বাইরের কাউকে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক অতীগ ঘোষ জানান, যেহেতু গৌর প্রাঙ্গণ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, এখানে কয়েক ঘণ্টার অনুষ্ঠানে বিপুল জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব। পৌষ মেলা হয় মেলার মাঠে। সেখানে ৬ দিন ধরে মেলা হয়েছে। তাই জনসমাগমের সংখ্যা ভাগ হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে অসুবিধা হয়নি। উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দোলের দিন বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে না। আশ্রমে বসন্ত উৎসবের সাথে যুক্ত নয় কোনও ধর্মীয় অনুষঙ্গ। তাছাড়া 'হেরিটেজ' তকমা রক্ষার্থে এবারও বিশ্বভারতী বেশি সতর্ক। ১১ মার্চ পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আশ্রমিকদের নিয়ে বসন্তোৎসব করবে বিশ্বভারতী।
২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো (UNESCO)। এই 'হেরিটেজ' তকমা রক্ষা করতে এবারও সতর্ক বিশ্বভারতী। স্বাভাবিকভাবে দোল পূর্ণিমার দিন হচ্ছে না বসন্তোৎসব। দোল পূর্ণিমা আগামী ১৪ মার্চ। তার কয়েক দিন আগে ১১ মার্চ বসন্তোৎসব পালন করবে বিশ্বভারতী। কারণ একটাই, ১৪ মার্চ শান্তিনিকেতনে পর্যটকদের ভিড় থাকে। তাই ওই দিন বসন্তোৎসব করলে বহিরাগতরা আশ্রমে প্রবেশ করতে পারেন।
আরও পড়ুন- ATM থেকে টাকা তুলতে গিয়ে সর্বশান্ত গ্রাহক, বিরাট জালিয়াতিতে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব
আগে বিশ্বভারতীতে বসন্তোৎসব হতো আশ্রম মাঠে। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কয়েক ঘন্টা বিপুল মানুষের সমাগম হতো। অতীতে উৎসবের সূচনার পরেই বহিরাগতদের তাণ্ডবেরও সাক্ষী থেকেছেন বিশ্বভারতীর পড়ুয়া থেকে শুরু করে অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, আশ্রমিক, শান্তিনিকেতনবাসী। এই আশ্রম মাঠ সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঐতিহ্যবাহী চৈতি বাড়ি, গৌরপ্রাঙ্গণ, ঘন্টা তলা, কালো বাড়ি, রামকিঙ্কর বেইজের মূল্যবান ভাস্কর্য প্রভৃতি। তাতেও আবির ছুঁড়ে দেওয়া হতে পারে। এছাড়া অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে , বসন্তোৎসব শেষে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসজুড়ে মিলত মদের রাশি রাশি বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেট। এমনকী বহিরাগতদের হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বিশ্বভারতীর বহু ছাত্রীকেও।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি, পার্থকে চাকরিপ্রার্থীদের নামের সুপারিশ BJP-র দিব্যেন্দু, ভারতীদেরও?
এই বিশ্বভারতী বর্তমানে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। এই হেরিটেজ তকমা রক্ষার্থে আর বহিরাগতদের প্রবেশাধিকার দিয়ে বসন্তোৎসব করতে চায় না বিশ্বভারতী। তাই এবারও বিশ্বভারতীর বসন্তোৎসবে বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবেন না। রবীন্দ্রসংগীত ও নাচের মধ্য দিয়ে পড়ুয়ারা উদযাপন করবেন বসন্তোৎসব।
আরও পড়ুন- SSKM Hospital: ইতিহাস গড়ল SSKM হাসপাতাল! অভাবনীয় তৎপরতায় বেনজির সাফল্যের শিখর স্পর্শ
প্রসঙ্গত, শেষবার ২০১৯ সালে আশ্রম মাঠে হয়েছিল বসন্তোৎসব। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উৎসব। ২০২১ সাল থেকে তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বসন্তোৎসবে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। এমনকী ভিড় এড়াতে দোলপূর্ণিমার দিন বসন্তোৎসব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।