One arrested from magrahat with illegal drugs worth rs crores: না তিনি পুষ্পা সিনেমার 'সেখাওয়াত' নন, তিনি বাস্তবের 'দাবাং', তাই গল্পটা উলটো। ঠিক যেন পুষ্পা সিনেমার কাহিনী, পুষ্পা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে দুধের কন্টেনারবোঝাই গাড়িতে লাল চন্দন পাচার করে সফল হলেও একই কায়দায় নিষিদ্ধ মাদক পাচারকারীরা ছোট কন্টেনার গাড়িতে মাছের ক্যারেটের আড়ালে নিষিদ্ধ মাদক পাচারের করে ছক কষেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই পাচারই রুখে দিল ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(জোনাল) মিতুন কুমার দে ও মগরাহাট থানার পুলিশ।
বেশ কিছুদিন ধরেই মগরাহাট থানার পুলিশের কাছে খবর আসছিল গাড়িতে মগরাহাট এলাকার রোড ব্যবহার করে পাচার হচ্ছে নিষিদ্ধ মাদক। তবে কীভাবে পাচার হচ্ছে তারই হদিশ পাচ্ছিল না পুলিশ। এরপরই মঙ্গলবার পুলিশের কাছে খবর আসে, কন্টেনারের গাড়িতে প্রায় কয়েক কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক পাচার হচ্ছে। খবর পেয়ে ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে ও মগরাহাট থানার ওসি বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে মাগুর পুকুর রোডের আমড়াতলা এলাকায় একটি কন্টেনার গাড়িকে আটক করে। তখনই পুলিশকে দেখতে পেয়ে গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায় গাড়ির চালক, সন্দেহ জোরালো হয় পুলিশের।
এরপরেই কন্টেনারের গাড়িটিতে তল্লাশি করতে গিয়ে দেখা যায় গাড়িবোঝাই ফাঁকা ক্যারেটের আড়ালে নকল বাক্স তৈরি করে থরে থরে সাজানো রয়েছে নিষিদ্ধ মাদকের প্যাকেট। নিষিদ্ধ মাদকের গন্ধ যাতে বাইরে না আসে সেই কারণেই পরিকল্পিতভাবে কন্টেনার গাড়িতে বোঝাই করা হয়েছিল পচা মাছ বহনের দুর্গন্ধযুক্ত ফাঁকা ক্যারেট। আর সেই কন্টেনার গাড়ির মধ্যেই সুকৌশলে খোপ কেটে তৈরি করা হয়েছিল নিষিদ্ধ মাদক পাচারের জায়গা।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live:'কাউকে দরকার নেই, নিজের ক্ষমতায় রাজনীতি করি', হুমায়ুনকে নিয়েও অবস্থান স্পষ্ট করলেন দিলীপ
আপাতভাবে দেখে কোনও কিছুই বোঝার উপায় নেই। এরপরেই কাটার দিয়ে সেই গোপন বাক্স কেটে ফেলতেই গাড়ির মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে প্রায় দু'শোরও বেশি নিষিদ্ধ মাদকের প্যাকেট। প্রতিটি প্যাকেটের আনুমানিক ওজন এক থেকে দেড় কেজি । মাদক বিরোধী অভিযানে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধারে বড়সড় সাফল্য পেলো ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলা ।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: কলকাতা-লন্ডন বিমান চালুতে ছাড়ের প্রতিশ্রুতি, বিদেশি শিল্পপতিদের বাংলায় লগ্নির আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর
গাড়িবোঝাই নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি একজনকে গ্রেফতার করেছে মগরাহাট থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ভিন রাজ্য থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য আসছিল এলাকায়। তবে এত পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক কোথায় পাচার হচ্ছিল? কোথা থেকেই বা আসছিল এই নিষিদ্ধ মাদক? পাচার চক্রের পেছনে কারা রয়েছে? তারই তদন্ত শুরু করেছে মগরাহাট থানার পুলিশ।