India-Pakistan Tension: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে ঢুকে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের তরফে পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে পাক আগ্রাসন রুখতে পুরোদস্তুর তৈরি ভারত। এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এবার পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে ঝাঁঝালো আক্রমণ দিলীপ ঘোষের। সেই সঙ্গে আবারও ডাকাবুকো BJP নেতার নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর রোষ থেকে বাদ গেল না বাম-কংগ্রেসও।
'বাংলাদেশ নিমকহারাম'
দিলীপ ঘোষের কথায়, "ওরা ভুলে গেছে আমাদের কয়েক হাজার সেনার প্রাণের বিনিময়ে আমরা ওদের স্বাধীন করেছিলাম। তাদের মা-বোনেদের সম্মান বাঁচিয়েছিলাম। না হলে আজ ওদের শেষ করে দিত। ওরা পাকিস্তানের বুটের নিচে থাকত। ওরা নিমকহারাম। ইসলামের নামে সারা বিশ্বের কিছু দেশকে এক করার চেষ্টা চলছে। তাই বাংলাদেশ বা তুরস্ক এই ধরনের কথাবার্তা বলছে। এটাই একদিন ওদের কাছে কাল হবে। যদি ওরা ঠিক পথে চলত তাহলে তো কেউ না কেউ পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াত। সবাই বুঝে গেছে মৌলবাদের নামে সন্ত্রাসবাদকে প্রমোট করছে পাকিস্তান। তাই গোটা দুনিয়া আজ ওদের বিরুদ্ধে। হাতেও মারা হচ্ছে ভাতেও মারা হচ্ছে।"
'নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদের ওপর গুলিবর্ষণ পাকিস্তানের'
BJP নেতা আরও বলেন, "পাকিস্তান তাঁর জন্ম থেকেই হিংসার রাজনীতি করে আসছে। আতঙ্কবাদ তাদের রাজনীতি। ভারতের পিছনে লেগে থাকা তাদের রাজনীতি। চিরদিন বর্ডারের নাগরিকদের ওপর সেলিং করা তাদের জমি ফসল নষ্ট করা, এই সব করে এসেছে। এখন ওখানে রেলিং দেওয়ায় এইপাশে আসতে পারে না। ওদের সেনার ভারতের সঙ্গে লড়ার দম নেই। ভারত কোনওদিন সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়নি। ভারত এবং মোদীর পিছনে সবাই আছে। পাকিস্তানের সেনারা হু হু করে চাকরি ছাড়ছে। সেনাপ্রধান পরিবারকে অন্য দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠাচ্ছেন। ওদের নিজের দেশের ভিতরে বালুচিস্তান বা তালিবান গ্রুপকে সামলাতে পারছে না। তাই এই সব করে একটু ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এতে ওদের হিতে বিপরীত হবে।"
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates: 'কেন্দ্র-রাজ্য বিভেদ নেই', দেশ রক্ষায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ার বার্তা মমতার
ফের দিলীপের নিশানায় মমতা:
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ এদিন বলেছেন, "এটা রাজনৈতিক মন্তব্য। উনি জানেন এর বিরোধিতা করলে মানুষ শুইয়ে দেবে এবং ধুয়ে দেবে। কমিউনিস্ট পার্টি কোনওদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বলে না। আমরা ৭৫ বছর ধরে এই জিনিস দেখে আসছি। কংগ্রেস বলবে না। ওদের নেতারা পাকিস্তানের পক্ষে বলবে। কংগ্রেসের বাই প্রোডাক্ট হল তৃণমূল। আজ জনগণের সেন্টিমেন্টের চাপে মিউ মিউ করতে হচ্ছে। যদি হিম্মত থাকে তাহলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বলুন। আপনিই সন্ত্রাসবাদকে প্রমোট করছেন। বলুন বাংলার মানুষকে, যে আমরা ১০ কোটি মানুষ কেন্দ্রের সঙ্গে আছি। সেনার সঙ্গে আছি। কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে তার সঙ্গে থাকব। এক্ষুনি বলা উচিত। না হলে বুঝে নেব ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।"
আরও পড়ুন- Kolkata Weather Update today:ফের জ্বালাপোড়া গরমে সেদ্ধ হবে দক্ষিণবঙ্গ! উত্তরের আবহাওয়া নিয়েও মিলল বড় আপডেট