রায়চৌধুরী বাড়ির 'দ্বিভূজা দুর্গা'র পুজোর অজানা কাহিনী গায়ে কাঁটা দেবে, আবেগের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার দেশভাগের ইতিহাস

মহেশপুর থেকে পাবাখালির দূরত্ব ৩০ কিমি। তবে বর্তমানে ব্যবধানে এপার ওপার দুই বাংলা দুটি রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে। তারপরও ওপার থেকে এপার বাংলা সীমান্তের কৃষ্ণগঞ্জের পাবাখালির বড় সরকার বাড়ির দ্বিভূজার দুর্গা আজও আবেগে রয়ে গিয়েছে।

মহেশপুর থেকে পাবাখালির দূরত্ব ৩০ কিমি। তবে বর্তমানে ব্যবধানে এপার ওপার দুই বাংলা দুটি রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে। তারপরও ওপার থেকে এপার বাংলা সীমান্তের কৃষ্ণগঞ্জের পাবাখালির বড় সরকার বাড়ির দ্বিভূজার দুর্গা আজও আবেগে রয়ে গিয়েছে।

author-image
Mousumi Das Patra
New Update
cats

রায়চৌধুরী বাড়ির 'দ্বিভূজা দুর্গা'র পুজোর অজানা কাহিনী গায়ে কাঁটা দেবে

মহেশপুর থেকে পাবাখালির দূরত্ব ৩০ কিমি। তবে বর্তমানে ব্যবধানে এপার ওপার দুই বাংলা দুটি রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে। তারপরও ওপার থেকে এপার বাংলা সীমান্তের কৃষ্ণগঞ্জের পাবাখালির বড় সরকার বাড়ির দ্বিভূজার দুর্গা আজও আবেগে রয়ে গিয়েছে। সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ‘রায় চৌধুরী’ উপাধি পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল এই উমা আরাধনা। বিশেষত্ব হল, এখানে দেবী দুর্গাকে দেখা যায় কেবল দুটি হাতে। যদিও প্রকৃতপক্ষে দেবীর আটটি হাত থাকে চুলের আড়ালে ঢাকা। সেই থেকেই এই প্রতিমা পরিচিত "দ্বিভূজা দুর্গা" নামে।

Advertisment

Murshidabad News: খড়গ্রামে শিশুকন্যাকে হত্যা! নজিরবিহীন নির্দেশ আদালতের

রায়চৌধুরী পরিবারের ইতিহাস জানায়, দেবী একসময় ১০ হাত দিয়ে আহার করছিলেন। তখন গণেশ ও কার্তিক আপত্তি করলে দেবী লজ্জায় আটটি হাত আড়াল করেন। সেই রূপের প্রতিমাই আজও তৈরি হয়। প্রায় ১৫ ফুট উচ্চতার এক চালার প্রতিমায় ডান হাতে থাকে ত্রিশূল আর বাম হাতে সাপের লেজ।

Advertisment

পুজোকে ঘিরে চলে নানা আচার-অনুষ্ঠান। সপ্তমীর দিন হোমকুণ্ডে আগুন জ্বলে, যা নবমীতে নেভানো হয়। চারদিন ধরে চলে নামজপ ও চণ্ডীপাঠ। ভোগ দেওয়া হয় দিনে চারবার—ধানের চাল ও কলাই ডালের খিচুড়ি, পাঁচভাজা, পায়েস, রাতের লুচি-মিষ্টি থেকে শুরু করে নানা আয়োজন। সন্ধি পুজো শুরু হয় মোমবাতির শিখা দেখে, এরপর ঐতিহ্য মেনে বন্দুকের গুলি ছুঁড়ে সংকেত দেওয়া হয়। একসময় মহিষ বলি দেওয়া হলেও বর্তমানে প্রতীকী কলা বলির প্রথা চলে আসছে। নবমীতে আহুতি আর দশমীর দিন সূর্যাস্তের আগে চূর্ণী নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয় দেবীকে।

Entertainment Latest Live News Updates: চূডা়ন্ত গাফিতলিতেই জুবিনের মর্মান্তিক মৃত্যু? দায়ের FIR

পাবাখালির এই পুজোর সূচনা হয়েছিল প্রায় ৩০০ বছর আগে মহেশপুরে। দেশভাগের পর ১৯৪৯ সালে রায়চৌধুরী পরিবারের সদস্যরা প্রথা অনুযায়ী পুজোকে নিয়ে আসেন এপারে। জমিদারি বৈভব হারালেও পুজোর আচার-নিষ্ঠা আজও অটুট। বড়সরকার বাড়ির কর্তা পিনাকী প্রসাদ রায়চৌধুরীর কথায়, “আমাদের পূর্বপুরুষেরা পূর্ব পাকিস্তানে এই পুজো করতেন। এই দেশে আসার পরও সেই প্রথা ও নিষ্ঠা একটুও কমেনি।”

Durgapuja