kashmir tourist shooting news:কলকাতা বিমানবন্দরে নিহত বিতান অধিকারীর শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে তাঁর স্ত্রীকে সান্তনা শুভেন্দু অধিকারীর।
pahalgam terror attack:কাশ্মীরের নারকীয় জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহত পর্যটকদের মধ্যে ৩ জন বাংলার। বুধবার রাতে শ্রীনগর থেকে বিশেষ বিমানে কলকাতায় ফিরেছে নিহত বিতান অধিকারী ও সমীর গুহর মরদেহ। বিতানের সাড়ে তিন বছরের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে শুভেন্দু নিশানা করেছেন সেকুলার-পন্থীদের।
Advertisment
গতকাল সন্ধেয় কলকাতা বিমানবন্দরে বিতান অধিকারীর কফিনবন্দি মরদেহ এসে পৌঁছোয়। ততক্ষণে বিমানবন্দরে হাজির হয়ে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, BJP বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য সহ গেরুয়া দলের অন্যান্য নেতারা।
রাজ্য সরকারের তরফে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ কয়েকজন গিয়েছিলেন নিহতদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে। এদিন বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী। তাঁর কাছে গিয়ে শুভেন্দু কোলে তুলে নেন বিতানের সাড়ে তিন বছরের শিশুপুত্রকে।
তারপরেই অরূপ বিশ্বাস-সহ অন্যদের দিকে আঙুল দেখিয়ে নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রীর উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, "আপনি বলুন, হিন্দু বলে মেরেছে। এদের বলুন ওই সেকুলারদের। হিন্দুস্তানে হিন্দুকে খুন করেছে। গাজা শেষ। ইজরায়েল শেষ করেছে। আমরাও শেষ করব। মোদীর বাচ্চা আমরা। হিন্দু বলে খুন করেছে।"
এরপরেই নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পালদের বলতে থাকেন, "ওর (নিহত বিতানের শিশুপুত্র) চোখে সামনে ওর বাবাকে মেরেছে। ওরা বলেছে আপনি কি কলমা পড়তে জানেন? উনি বলেছেন আমি জানি না... মেরে দিল...।"
এদিকে আজ সাংবাদিকদের সামনে একটি সাংঘাতিক আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বারুইপুরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে দুই কাশ্মীরি যুবক থাকছেন বলে জানান তিনি। তারা সন্দেহজনক কিছু করছেন কিনা এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পাশাপাশি NIA-র দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বিজেপি নেতা। এক্স হ্যান্ডলেও এই তথ্য দিয়ে ও একটি এন্টেনার ছবি দিয়ে পোস্ট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা।
সোশ্যাল মিডিয়া মারফত এমন খবর পেয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু করেছিল বারুইপুর জেলা পুলিশ। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া মারফত এই খবর পেয়েই তারা তদন্ত শুরু করেন। উল্লিখিত ঠিকানা থেকে ২ যুবককে চিহ্নিত করা হয়। তবে তদন্তে কোনরকম সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। কাশ্মীরি যুবক বলে যাদের বলা হচ্ছে তারা আদতে মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। ব্যবসার কাজেই তারা বারুইপুরে এসে ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। ২ যুবকের আধার কার্ড পরীক্ষা করে দেখেছে পুলিশ। তারা একটি এন্টেনা ইন্সটল করেছিল বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ইন্টারনেটের সংযোগ নিতেই জিও এয়ার ফাইবারের ওই এন্টেনা তারা বাড়ির ছাদে লাগিয়েছিলেন। ওই ২ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন কোন সন্দেহজনক তথ্য মেনেনি বলেই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।