বিরাট সাফল্য বেঙ্গল এসটিএফের। কালিম্পং থেকে এসটিএফের জালে পাক গুপ্তচর। ইতিমধ্যেই ধৃতের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপের পাশাপাশি বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃত পীর মহম্মদ নামে ওই যুবকের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক পদস্থ কর্তার নিয়মিত যোগযোগ ছিল বলে সূত্রের দাবি। ধৃতকে দফায়-দফায় জেরা পুলিশের।
উত্তরবঙ্গের কালিম্পং থেকে এবার এক পাক গুপ্তচরকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পীর মহম্মদ নামে ধৃত পাক চর ওই এলাকায় লোন পাইয়ে দেওয়ার ব্যবসা করত। সেই ব্যবসার আড়ালেই পাকিস্তানের হয়ে চর বৃত্তির কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল এই যুবক, এমনই দাবি পুলিশের। সূত্র মারফত পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই পাক চরকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। ধৃতের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- উৎসবের আবহেই খুশির খবর, নিউ গড়িয়া-রুবি রুটে মেট্রোর ট্রায়াল রান চালু
ধৃতের কাছ থেকে মেলা মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত পীর মহম্মদের নেপালে যাতায়াত ছিল। তবে নেপালে কাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল তা এখনও জানা যায়নি। ধৃতের মোবাইল ঘেঁটে বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক অ্যাপের সন্ধান পেয়েছে পুশ। ওই অ্যাপগুলির মাধ্যমেই তার কাছে কাজের নির্দেশ পাঠানো হত বলে সন্দেহ পুলিশ কর্তাদের।
আরও পড়ুন- ‘বেমানান লাগছে নিজেকে, যাবার সময় হল, দাও বিদায়!’, তৃণমূল ছাড়তে চান এই বিধায়ক
এছাড়াও ধৃত যুবকের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এক পদস্থ কর্তার নিয়মিত যোগাযোগ হত বলে দাবি করেছে এসটিএফ। এব্যাপারে বিশদে কিছু এখনও জানা না গেলেও এর জাল বহু দূর পর্যন্ত বিস্তৃত বলে মনে করছে পুলিশ। এরাজ্যে বা দেশের অন্যত্র তাকে কারা কারা সাহায্য করত ধৃতকে জেরায় তা জানার চেষ্টা চালাবে পুলিশ।