Panagarh Accident Case: পানাগড়ে চন্দননগরের তরুণীর গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে ইভটিজিং তত্ত্ব ওড়ালো পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ইভটিজারদের গাড়িটি তরুণীদের গাড়িটিকে ধাওয়া করেছিল, তারই জেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়ি উল্টে তরুণীর মৃত্যু হয়। মৃত তরুণী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িচালকই চাঞ্চল্যকর এই বয়ান দিয়েছিলেন। তবে মর্মান্তিক এই ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশের দাবি পুরো উল্টো।
চন্দননগরের তরুণী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়দের গাড়িটিকে অন্য গাড়ি ধাওয়া করেনি, বরং তরুণীদের গাড়িটিই অন্য আর একটি গাড়িকে ধাওয়া করেছিল, এমনই দাবি পুলিশের। এমনকী ওই ক্ষেত্রে ইভটিজিং-এর কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার।
সোমবার সাংবাদিকদের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, "বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের হাতে যে তথ্য এসেছে তাতে করে এটা বলা যায় যে ইভটিজিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি। একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়েই যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে ভিকটিমের গাড়িটি অন্য গাড়িটিকে ধাওয়া করছিল।"
আরও পড়ুন- Kolkata Earthquake: সাতসকালে কলকাতা-সহ বাংলার বিস্তীর্ণ অংশে ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.১
এদিকে পুলিশের এই দাবি আর দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালকের দাবি সম্পূর্ণ ভিন্ন। গতকাল দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই গাড়ির চালক দাবি করেছিলেন, তাঁদের গাড়িটি বুদবুদের ওই পেট্রোল পাম্পে তেল ভরার পরেই অন্য গাড়িটি তাঁদের ফলো করতে শুরু করে। গাড়িতে থাকা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় নামে ওই তরুণীর উদ্দেশ্যে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে অন্য গাড়িতে থাকা যুবকরা। রীতিমতো উত্ত্যক্ত করা হতে থাকে ওই মহিলাকে। পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতেই গাড়ি ছুটিয়ে এগনোর চেষ্টা করেন তিনি। তাতেই গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয়েছে সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় নামে চন্দননগরের ওই মহিলার।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: খাস কলকাতায় হাড়হিম কাণ্ড! ট্রলিব্যাগে মুণ্ডহীন দেহ গঙ্গায় ফেলতে গিয়ে পাকড়াও দুই মহিলা
এদিকে, গাড়ি চালকের বয়ান এমন হলেও পুলিশের দাবি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ওই রাতে ইভটিজিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। উল্লেখ্য, গত রবিবার গভীর রাতে চন্দননগর থেকে গয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় নামে ওই তরুণী। গাড়িতে তিনি ছাড়াও তাঁর সহকর্মীরা ছিলেন। সুতন্দ্রা একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মী ছিলেন। তাঁদের গাড়িটি পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদের একটি পেট্রোল পাম্পে তেল ভরছিল। ঠিক তার পরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক সেই পরিণতি।